খালেদ ভূঁইয়ার ক্যাসিনো থেকে উদ্ধার মুদ্রা বাজেয়াপ্ত

খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। ফাইল ছবি
খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। ফাইল ছবি

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার  পরিচালিত ইয়ংমেনস ক্লাবের ক্যাসিনো থেকে উদ্ধার করা ১০ লাখ টাকা ও ৭০ হাজার টাকার বিদেশি মুদ্রা বাজেয়াপ্ত করেছে তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আজ রোববার সিআইডি এই টাকা বাজেয়াপ্ত করে।

সিআইডি সূত্র জানায়, খালেদ মাহমুদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মানি লন্ডারিং আইনে করা মামলাটি তদন্ত করছে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম। জব্দ করা অর্থের উৎস ও পাচারের বিষয়ে খালেদ মাহমুদকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি। তিনি বর্তমানে খিলগাঁওয়ে জোড়া খুনের মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিআইবি) রিমান্ডে আছেন। তাঁর সম্পদের খোঁজ পেতে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ ২৪টি সংস্থাকে চিঠি দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অধিকাংশ সংস্থা থেকে খালেদের সম্পদের তথ্য এসেছে।

সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদে রিমান্ডে থাকা খালেদ মাহমুদ জানান, তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় থেকে ঠিকাদারি কাজ বাগিয়ে নিতেন। এ জন্য তিনি পদে পদে অনেক টাকা দিয়েছেন। তিনি সিঙ্গাপুরসহ একাধিক দেশে অর্থ পাচার করেন বলে স্বীকার করেন।

খালেদের বিরুদ্ধে করা মানি লন্ডারিং আইনের মামলাটির তদারকি করছেন সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ইমতিয়াজ আহমেদ। তিনি আজ প্রথম আলোকে বলেন, খালেদ মাহমুদ পরিচালিত ফকিরের পুল ইয়াংমেনস ক্লাব থেকে জব্দ করা ১০ লাখ টাকা ও ৭০ হাজার টাকার বিভিন্ন দেশের বিদেশি মুদ্রা আয়ের উৎস ছিল অবৈধ। তাই আদালতের অনুমতি নিয়ে এসব টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

গত ১৮ সেপ্টেম্বরে র‍্যাব গুলশানের বাসা থেকে যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের (বহিষ্কৃত) সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফকিরেরপুল ইয়াংমেনস ক্লাবের সভাপতি খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে। তাঁর পরিচালিত ফকিরাপুলের ইয়াংমেনস ক্লাব থেকে বিপুল পরিমাণ মদ, বিয়ার, ইয়াবা, টাকা উদ্ধার এবং কমলাপুরে তাঁর টর্চার সেল থেকে মানুষকে নির্যাতন করার বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এসব ঘটনায় খালেদ মাহমুদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে তিনটি এবং টর্চার সেল থেকে ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় মতিঝিল থানায় মাদকদ্রব্য আইনে আরেকটি মামলা করা হয়। খালদের বিরুদ্ধে করা মানি লন্ডারিং আইনের মামলাটি তদন্ত করছে সিআইডি।