ইবি ছাত্রলীগের সভাপতি ও সা. সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্র-বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান লালনের বাড়িতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারী তাঁর পরিবারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে মেহেরপুরের গাংনী থানায় এ মামলা করা হয়।এ ঘটনায় ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশ ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিবসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মেহেরপুরের গাংনী থানায় মিজানুরের ভগ্নিপতি শহিদুল ইসলাম বাদী এ মামলা করেন। গাংনী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘ইবি কর্মচারীসহ যে চারজনকে আটক করা হয়েছে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

মামলা সূত্রে জানা যায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আইসিটি দপ্তরের কর্মচারী ইলিয়াস জোয়ার্দ্দারকে প্রধান আসামি করে দণ্ডবিধি ১৪৩, ৪৪৮ এবং ৫০৬ ধারায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশ এবং সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিবকেও আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী এলাকার উজ্জ্বল এবং মাইক্রোবাসের চালকসহ মোট সাতজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি রাখা হয়েছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, লালনের সঙ্গে সাবেক প্রক্টর মাহবুবর রহমানের দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন এবং প্রক্টর পরিবর্তন আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়াসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক কারণে শত্রুতা চলছে। সেই শত্রুতার জের ধরে মাহবুবর রহমান লালনকে হুমকি দেওয়াসহ তাঁর ক্ষতিসাধনের চেষ্টা চলছে। আসামিরা গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মেহেরপুরের গাংনীতে লালনের বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সামনে তাঁকে হত্যার হুমকি দেন।

এজাহারে অভিযুক্ত মাহবুবর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটাতো সম্পূর্ণ অবান্তর একটি অভিযোগ। আসামিদের সঙ্গে গত কয়েক দিন আমার কোনো যোগাযোগই নেই।’

মামলার চার নম্বর আসামি ও ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় আছি। এই মামলায় আমাকে ষড়যন্ত্র করে আসামি করা হয়েছে। যেটি আমার রাজনৈতিক এবং ব্যক্তিগত মান ক্ষুণ্ন করেছে।’