চট্টগ্রাম বিভাগে পেঁয়াজ নিয়ে সক্রিয় ১৫ জনের সিন্ডিকেট

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ কেনা দামের চেয়ে প্রায় তিনগুণ দামে বিক্রির পেছনে জড়িত আছেন কক্সবাজারের টেকনাফ ও চট্টগ্রামের ১৫ জনের একটি সিন্ডিকেট। জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ অনুসন্ধানে তাদের নাম উঠে এসেছে।

এসব ব্যক্তিরা চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের টেকনাফভিত্তিক পেঁয়াজ আমদানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ ও আড়তদার। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আজ সোমবার দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কাছে নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে।

এই সিন্ডিকেট ৪২ টাকায় মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে ৯০ থেকে ১১০ টাকায় পাইকারি বাজারে বিক্রি করে আসছিল। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই সিন্ডিকেটে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামের তালিকা করা হয়েছে।

আজ বেলা ১২টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি উপসচিব সেলিম হোসেন নগরের খাতুনগঞ্জ, চাক্তাই ও রিয়াজুদ্দিন বাজার পরিদর্শন করেন। একই সময়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। পরিদর্শন শেষে উপসচিব সেলিম হোসেন মিয়ানমারের পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে ৫৫-৬০ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৬৫-৭০ টাকা দরে বিক্রির নির্দেশ দেন।

অভিযানে বারবার সতর্ক করার পরও মাত্রাতিরিক্ত দামে মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি করার দায়ে খাতুনগঞ্জের গ্রামীণ বাণিজ্যালয়কে ৫০ হাজার টাকা এবং রিয়াজুদ্দিন বাজারের রুহুল আমিন সওদাগরকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সিন্ডিকেটের তালিকা কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেই সিন্ডিকেটের সদস্যদের ধরতে টেকনাফে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসনের হিসাবে মিয়ানমারের পেঁয়াজের কারসাজিতে জড়িত সিন্ডিকেটে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো হলো সজিব (আমদানিকারক), মম (আমদানিকারক), জহির (আমদানিকারক), সাদ্দাম (আমদানিকারক), কাদের (সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট), শফি (দালাল), ফোরকান (বিক্রেতা), গফুর (বিক্রেতা), মিন্টু (বিক্রেতা), খালেক (বিক্রেতা), টিপু (বিক্রেতা), খাতুনগঞ্জের মেসার্স আজমীর ভান্ডার, মেসার্স আল্লার দান স্টোর, স্টেশন রোডের মেসার্স সৌরভ এন্টারপ্রাইজ, এ হোসেন ব্রাদার্স, টেকনাফের মেসার্স আলীফ এন্টারপ্রাইজ।