ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া দুজন হলেন শহিদুল ইসলাম (৩০) ও খোরশেদ আলম (৩৩)। তাঁরা ওই ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। আদালতের মাধ্যমে তাঁদের শেরপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়। বিষয়টির সুরাহা করতে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আবদুল আলিম সালিস বৈঠক করেন। সালিসে ধর্ষণের দায়ে এক যুবককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। মেয়েটি বিচার না মেনে ধর্ষকের শাস্তির দাবিতে প্রকাশ্যে আত্মহত্যার হুমকি দেয়। পরে ওই শিক্ষার্থী ও তার মা বাদী হয়ে অভিযোগ ওঠা যুবক মো. সায়িম (২৫), সালিসের বিচারক ইউপি সদস্যসহ সাত জন্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সায়িমকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

পুলিশ ও জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা গেছে, সালিসের বিচার না মেনে গতকাল সকালে ওই ছাত্রী তার পরিবারের লোকজনকে নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে ধর্ষণের বিচার চাইতে যায়। ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ ঘটনা শুনে দ্রুত বিষয়টি নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদকে জানান।

এরপর ওসিসহ পুলিশ সদস্যরা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় শহিদুল ও খোরশেদকে গ্রেপ্তার করে। তবে প্রধান আসামি সায়িম ও সালিসের বিচারক ইউপি সদস্য আবদুল আলিমকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। গতকাল শেরপুর সদর হাসপাতালে মেয়েটির মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আবদুল আলিম সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত শুক্রবার মুঠোফোনে খুদে বার্তা পেয়ে  ওই শিক্ষার্থী এক পরিচিত তরুণের (২০) সঙ্গে দেখা করতে যায়। ওই তরুণ ঢাকায় কাজ করেন। মেয়েটি বাড়ি থেকে ৩০০ মিটার দূরে নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে দেখে সেখানে পরিচিত যুবকের জায়গায় অন্য একজন। মেয়েটি চলে যেতে চাইলে এ সময় সায়িম তার পথ রোধ করেন। পরে চাকু বের করে তাকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেন।

ওই ছাত্রীর মা বলেন, ‘আমি এর বিচার চাই। যেন আর কেউ এ ধরনের অপরাধ করবার সাহস না পায়। মানুষের ইজ্জত কি টাকার বিনিময়ে কেনা যায়? আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’

নালিতাবাড়ী থানার ওসি বছির আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, মেয়েটিকে মেডিকেল পরীক্ষার করানো হয়েছে। দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।