অনলাইনে প্রবাসীদের ভোটার হওয়ার কার্যক্রম শুরু

অনলাইনে প্রবাসীদের ভোটার হওয়ার কার্যক্রম আজ মালয়েশিয়া থেকে শুরু হয়েছে। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি দূতাবাসে প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ ও বাংলাদেশ প্রান্তে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা ভিডিও সম্মেলনের মাধ্যমে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

প্রবাসীদের অনলাইনে (sevices.nidw.gov.bd) সাইটে আবেদন করতে হবে।

মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসীরা প্রথমে এই সুযোগ পেলেও শিগগিরই সৌদি আরব, দুবাই, মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর ও যুক্তরাজ্যে বসবাসকারীরাও সুযোগটি পাবেন।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ইসির সম্মেলনকক্ষে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, কবিতা খানম, নির্বাচন কমিশন সচিব মো. আলমগীর, এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে উপস্থিত ছিলেন হাইকমিশনার শরিফুল ইসলামসহ অন্য কর্মকর্তারা।

প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ বলেন, এনআইডি পেলে কী লাভ, তা সবার জানা। ভোট দেওয়া নাগরিকের অধিকার। ভোটার হতে পারলে প্রবাসীরা ভোট দিতে পারবেন। তাঁদের অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। সিইসির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘প্রবাসে মালয়েশিয়ায় অনেক বাংলাদেশির যথাযথ কাগজপত্র নেই। তাঁরা বিপদে আছেন। আপনারা তাঁদের ভোটার করার ক্ষেত্রে কাগজপত্রের বিষয়ে একটু নমনীয় থাকবেন। ভোটাররা যাতে প্রবাসে থেকে ভোট দিতে পারেন, সে ব্যবস্থা করবেন।’

এনআইডি মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘অনলাইনে কেউ আবেদন করলে, সেটা তাঁর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হবে। সেখান থেকে তদন্ত প্রতিবেদন এলে, যোগ্য ব্যক্তির দশ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ নেওয়ার জন্য দূতাবাসে হেল্পডেস্ক বসানো হবে। এরপর তা ইসি সার্ভারে নিয়ে স্মার্টকার্ড ছাপিয়ে হেল্পডেস্কের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে।’

প্রবাসীদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে সচেতনতার জন্য বিভিন্ন মিডিয়াসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও প্রচার করা হবে।

আবেদনে যা লাগবে:
এনআইডি মহাপরিচালক বলেন, মোট ছয়টি ডকুমেন্ট দিতে হবে প্রবাসীদের ভোটার হওয়ার জন্য। এগুলো হলো পাসপোর্টের ফটোকপি, বিদেশি পাসপোর্টধারী হলে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদের ফটোকপি বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতিপত্র, বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে শনাক্তকারী একজন প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকের পাসপোর্টের কপি, বাংলাদেশে বসবাসকারী রক্তের সম্পর্কের কোনো আত্মীয়ের নাম, মোবাইল নম্বর, এনআইডি নম্বরসহ অঙ্গীকারনামা, বাংলাদেশে কোথাও ভোটার হননি মর্মে লিখিত অঙ্গীকারনামা ও সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের প্রত্যয়নপত্র।

বিভিন্ন দেশে দেড় কোটির মতো বাংলাদেশের নাগরিক বসবাস করছেন বলে অনেক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এ টি এম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করেন, যার ভিত্তিতেই পরে ভোটারদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হচ্ছে। গড়ে তোলা হয় এনআইডি তথ্যভান্ডার। বর্তমানে ৫০টির বেশি সংস্থা-প্রতিষ্ঠান এই তথ্যভান্ডার থেকে ব্যক্তির পরিচয়ের বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে নিচ্ছে। এতে অপরাধী শনাক্তকরণসহ বহুমুখী সমস্যা সমাধান সহজ হয়ে গেছে। এ ছাড়া সহজেই মিলছে নাগরিক সেবা।

ইসির সার্ভারে বর্তমানে ১০ কোটি ৪২ লাখ নাগরিকের তথ্য আছে।