ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশের লাভবান হওয়ার সুযোগ আছে: জি এম কাদের

জি এম কাদের। ফাইল ছবি
জি এম কাদের। ফাইল ছবি

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেছেন, বাংলাদেশ আর ভারতের মানুষের মধ্যে বন্ধুত্বের দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে। ভাষা ও সংস্কৃতিতে রয়েছে দারুণ মিল। শুধু সীমান্তরেখা কোনো বিভেদ সৃষ্টি করতে পারেনি বন্ধুপ্রতিম দুটি দেশের মানুষের মধ্যে।

জি এম কাদের বলেন, ‘দুটি দেশের মানুষের মধ্যে বন্ধুত্বের দৃঢ়তা পারস্পরিক অধিকার সংরক্ষণে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে। কখনোই বন্ধু বন্ধুকে এবং ভাই ভাইকে কোনো অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারে না। বৃহৎ প্রতিবেশী হিসেবে ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশের লাভবান হওয়ার অনেক সুযোগ রয়েছে। তাই আমরা ঐতিহ্যের বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় করতে চাই।’

ভারতের আসাম থেকে আসা উচ্চপদস্থ একটি সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময়কালে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের এ কথা বলেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী অফিসে এই সভা হয়। উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ভূপেন হাজারিকার অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশে এসেছে।

সকালে সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিদলকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান জি এম কাদের। এ সময় প্রতিনিধিদলটিও জি এম কাদেরকে উত্তরীয় পরিয়ে দেয়।

সার্ক কালচারাল সোসাইটির চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা আজকের মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন।

আজকের সভায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে লাখ লাখ বাংলাদেশিকে আশ্রয় দিয়ে ভারত অকৃত্রিম বন্ধুত্বের পরিচয় দিয়েছে। তাই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্ব বিরাজ করছে। তিনি আরও বলেন, ভূপেন হাজারিকার গান এ দেশের মানুষের মুখে মুখে চিরকাল থাকবে। তাঁর গান অধিকার আদায় এবং মানবিক সংগ্রামে অনুপ্রেরণা জোগাবে চিরকাল।

অনুষ্ঠানে ভূপেন হাজারিকার ছোট ভাই সমর হাজারিকাসহ অন্য শিল্পীরা ভূপেন হাজারিকার বিখ্যাত সব গান পরিবেশন করেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায় ও এস এম ফয়সল চিশতী, সমর হাজারিকা, বিশিষ্ট লেখক পদ্মশ্রী সূর্য হাজারিকা, সর্বভারতীয় কংগ্রেসের আসাম রাজ্যের সেক্রেটারি রমেন রব ঠাকুর, বিশিষ্ট সাংবাদিক দেবজিৎ ভূঁইয়া, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ভৌমেন ভারতীয়া ও আসামের সংগীত তারকা দীক্ষু শর্মা।

জাতীয় পার্টির নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান মাহমুদ, যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন দে।