পদ্মা সেতুর নাম ভাঙিয়ে আ.লীগ নেতার চাঁদাবাজি

ফুটবল ম্যাচের টিকিট। প্রথম আলো
ফুটবল ম্যাচের টিকিট। প্রথম আলো

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় ফুটবল টুর্নামেন্টের জন্য দর্শকদের কাছে টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। আর ৫০ টাকা মূল্যের এ টিকিটে উল্লেখ করা হয়েছে ‘সাহায্যার্থে রসিদ’ (পদ্মা সেতু)। ভাটরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোরশেদুল বারী এভাবে টাকা আদায় করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

ভাটরা ইউনিয়নের কুমিড়া পণ্ডিতপুকুর উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে এ ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে। কুমিড়া পণ্ডিতপুকুর টাইগার বহুমুখী যুব সমবায় সমিতি লিমিটেডের উদ্যোগে টাইগার ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মরহুম জালাল উদ্দিন মণ্ডল স্মরণে আয়োজিত এই টুর্নামেন্ট গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উদ্বোধন করা হয়। ওই সমিতির সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা মোরশেদুল বারী নিজেই।

আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, টুর্নামেন্ট আয়োজনের কথা জানিয়ে এক সপ্তাহ ধরে এলাকায় মাইকিং করে ও পোস্টার সাঁটিয়ে প্রচারণা চালানো হয়। এই টুর্নামেন্টে মোট ১৬টি দলের অংশ নেওয়ার কথা। চ্যাম্পিয়ন দল ১ লাখ এবং রানার্সআপ দল ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার পাবে বলে পোস্টারে উল্লেখ করা হয়।

স্থানীয় তিনজন দর্শক জানান, পোস্টারে টিকিট কেটে খেলা দেখতে হবে এমন কথার উল্লেখ নেই। তবে গতকাল সকাল থেকে চেয়ারম্যান মোরশেদুল বারীর লোকজন টুর্নামেন্টের খেলা দেখার জন্য ৫০ টাকার বিনিময়ে টিকিট বিক্রি শুরু করেন। টুর্নামেন্টের প্রথম খেলায় মাঠের চারপাশে চেয়ার বসানো হয়। প্রতিটি চেয়ারের জন্য ৫০ টাকা করে টিকিট বিক্রি করা হয়। টিকিটে সাহায্যার্থে ও পদ্মা সেতুর কথা উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে বক্তব্য জানার জন্য ভাটরা ইউপির চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোরশেদুল বারীর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ধরেননি।

 তবে কুমিড়া পণ্ডিতপুকুর টাইগার বহুমুখী যুব সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মজনুর রহমান বলেন, মাঠে কিছু চেয়ার দেওয়া হয়েছিল। এসব চেয়ারের জন্য ৫০ টাকা করে টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। এটা পদ্মা সেতুর সাহায্যার্থে নয়, ক্লাবের উন্নয়নের সাহায্যার্থে এই অর্থ নেওয়া হচ্ছে। কেউ যাতে নকল টিকিট বিক্রি করতে না পারে, এ জন্য টিকিটে পদ্মা সেতুর নাম সংকেত হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। বগুড়ার জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ প্রথম আলোকে বলেন, প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া টিকিট বিক্রি করে ফুটবল খেলা দেখানো বেআইনি। খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।