চট্টগ্রামে নাশকতার মামলায় যুবদলের ৮ নেতা-কর্মী কারাগারে

প্রতীকী ছবি। এএফপি
প্রতীকী ছবি। এএফপি

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গত বছরের ডিসেম্বরে নাশকতার অভিযোগে করা ‘গায়েবি’ মামলায় চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের আট নেতা-কর্মীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া যুবদলের নেতা-কর্মীরা হলেন নগর যুবদলের সহসভাপতি নুর আহমেদ, পরিবেশ-বিষয়ক সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম, নগরের উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, কমিটির সদস্য নেজাম উদ্দিন, উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান চৌধুরী, ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য জানে আলম, মো. সেলিম ও মনির।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত বছরের ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ১৯ ডিসেম্বর নগরের পাহাড়তলী এলাকায় রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য জমায়েত হয়ে জনমনে ভীতির সঞ্চার করা হয়। এই অভিযোগে পাহাড়তলী থানায় পুলিশ বাদী হয়ে স্থানীয় বিএনপি, যুবদলসহ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করে। আদালত সূত্র জানায়, বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন আছে।

নেতা-কর্মীদের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী নাজিম উদ্দীন। শুনানিতে তিনি আদালতকে বলেন, কোনো ঘটনা না ঘটলেও রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে নির্বাচনের আগে নেতা-কর্মীদের আসামি করা হয়। যা সারা দেশে ‘গায়েবি’ মামলা নামে পরিচিত। ঘটনার পর আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাঁরা হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেছেন। বর্তমানে দেশে স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। জামিনে থাকলে আসামিরা কোনো ধরনের অবৈধ কার্যকলাপে লিপ্ত হবেন না। তাদের জামিন মঞ্জুর করা হোক।

আসামিদের জামিনের বিরোধিতা করে সরকারি কৌঁসুলি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী আদালতকে বলেন, আসামিরা জামিনে থাকলে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারেন।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আট আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। অসুস্থ থাকায় শেখ ইয়াছিন নামের যুবদলের এক কর্মীর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।