ঝিনাইদহে আবার বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

চার দিনের ব্যবধানে ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে আবার ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। নিহত ওই বাংলাদেশি ব্যক্তি হচ্ছেন সুমন হোসেন (২৫)। তিনি মহেশপুর উপজেলার শ্যামকুড় গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে।

আজ শুক্রবার ভোরে ভারতের নদীয়া জেলার হাসখালী থানার শিলগেট নামক স্থানে সুমন বিএসএফের গুলিতে নিহত হন। 

মহেশপুর উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আমানুল্লাহ জানান, সুমন হোসেন হতদরিদ্র পরিবারের সদস্য। তিনি গরু ব্যবসায়ীদের শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। বৃহস্পতিবার তাঁরা কয়েকজন মিলে গরু আনতে ভারত সীমান্তে প্রবেশ করেন। আজ ভোরে গরু নিয়ে ফেরার সময় ভারতের ৮ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের পাখিউড়া ক্যাম্পের মেইন পিলার ৬০/১৩৩-১৩৪-আর থেকে আনুমানিক ৩০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে শিলগেট নামক জায়গায় বিএসএফ গুলি করে। স্থানীয় লোকজন ভারতীয় আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে জানতে পারেন, গুলিতে সুমন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। সুমনের লাশ ভারতের পাখিউড়া বিএসএফ ক্যাম্প ও হাসখালী থানার পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

ঝিনাইদহের মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অতিরিক্ত পরিচালক কামরুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, নিহত সুমন হোসেনকে গরুচোর হিসেবে আখ্যা দিয়ে বিএসএফ গুলি করে। এতে ওই ব্যক্তি মারা যান। ওই ব্যক্তির লাশ ফেরত আনার বিষয়ে তাঁরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

৩ নভেম্বর মহেশপুর সীমান্তের পলিয়ানপুরের বিপরীতে বিএসএফের গুলিতে আবদুর রহিম (৫০) নামের এক গরুর রাখাল নিহত হন। তিনি মহেশপুর উপজেলার সেজিয়া ইউনিয়নের বাউলিয়া গ্রামের আবুল কাসেমের ছেলে। ঘটনার দিন ভারতের হাবাশপুর এলাকার ৬০ নম্বর মেইন পিলারের পাশে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ।