ফ্যাসিস্ট সরকার জনগণের ঘাড়ে বসেছে: ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এত ফ্যাসিস্ট একটা সরকার জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে যে, এর থেকে মুক্তি পেতে হবেই। এর কোনো বিকল্প নেই। এ লক্ষ্যে সব দেশপ্রেমিক শক্তিকে এক জায়গায় আনতে হবে।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকায় মহানগর নাট্যমঞ্চে ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি’ দিবসের এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম এ কথা বলেন। বিএনপি এর আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কোনো ফ্যাসিস্ট শক্তিকে এককভাবে পরাজিত করা যায় না। সব দেশপ্রেমিক শক্তিকে এক জায়গায় আনতে হবে। আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। আমরা মনে করি, সব দেশপ্রেমিক ও গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে একনায়ক ফ্যাসিস্ট সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হব।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আজকে যাঁরা বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকারে আছেন, তাঁরা ৭ নভেম্বরকে স্বীকার করেন না।’ তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘তাঁরা স্বীকার করবেন কেন? তাঁরা তো দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিশ্বাস করেন না। যাঁরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করেন, দেশকে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দেখতে চান, তাঁরা অবশ্যই ৭ নভেম্বরকে বিশ্বাস করেন এবং মনে ধারণ করেন। কারণ, ওই দিন আমরা নতুন করে ষড়যন্ত্রকে রুখে দিয়েছিলাম।’

চুনোপুঁটি ধরে আর ক্যাসিনো গল্প সাজিয়ে সরকার তাদের দুর্নীতি আড়াল করতে চায় বলে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট হয়েছে, এর হিসাব কোথায়? শেয়ারবাজার থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে নিয়েছেন, তার হিসাব কোথায়? এই চুনোপুঁটি ধরে আর ক্যাসিনো গল্প সাজিয়ে মূল দুর্নীতি থেকে আপনি জনগণের দৃষ্টি আড়াল করতে পারবেন না।’

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই—এমন অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, গতকাল (বৃহস্পতিবার) সারা দিন সাদেক হোসেন খোকার জানাজা ছাড়া আর কোনো খবর ছিল না। আজ পত্রপত্রিকাগুলোতে লক্ষ্য করবেন, এটাকে বেশির ভাগ পত্রিকা ভেতরের ও পেছনের পেজে দিয়েছে। কেউ নির্দেশে করেছে, আবার কেউ স্বপ্রণোদিতভাবে করেছে। কেউ সাহস করে কথা বলতে পারেন না। যাঁরা কথা বলেন, তাঁদের টেলিভিশনে ডাকা হয় না। যাঁরা লেখেন, তাঁরা ঘর থেকে বের হতে পারেন না।

বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান, নিতাই রায় চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন প্রমুখ।