যাঁরা অন্য দল থেকে আওয়ামী লীগে এসেছে, তাঁরা সবাই অনুপ্রবেশকারী নন: ওবায়দুল কাদের

ওবায়দুল কাদের। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
ওবায়দুল কাদের। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিভিন্ন সময়ে যাঁরা অন্য দল থেকে আওয়ামী লীগে এসেছে, তাঁরা সবাই অনুপ্রবেশকারী নন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আজ শুক্রবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের পার্টিতে যাঁরা আসছে, তাঁরা সবাই অনুপ্রবেশকারী নয়। কারও বিরুদ্ধে যদি সাম্প্রদায়িকতার সংশ্লিষ্টতা না থাকে, কোনো প্রকার মামলা-মোকদ্দমা, কোনো প্রকার অপরাধের সংশ্লিষ্টতা না থাকে, তাঁরা অনুপ্রবেশকারী নয়।’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে, যাঁদের সাম্প্রদায়িক অশুভশক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের আওয়ামী লীগে জায়গা দেওয়া হবে না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক ক্লিন ইমেজের ভালো লোক আমাদের পার্টিতে এসেছেন।’ বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের পদত্যাগ–সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতির অনিবার্য পরিণতি।’

পরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের এবারের জাতীয় সম্মেলন সামনে রেখে দলের মধ্যে সব তিক্ততার অবসান ঘটবে। কেউ কারও বিরুদ্ধে কাদা–ছোড়াছুড়ি করবেন না। দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকবে, সুস্থ প্রতিযোগিতা হবে। কোনো অসুস্থ প্রতিযোগিতা হবে না। দলের জাতীয় সম্মেলন সামনে রেখে জেলা, উপজেলা, মহানগর, থানা, ওয়ার্ড পর্যায়ে যেসব জায়গায় মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি আছে, সেগুলো পুনর্গঠন করা হচ্ছে।

মতবিনিময় সভার শুরুতে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, জাতীয় সম্মেলন সামনে রেখে রাজশাহী জেলায় তৃণমূলে সম্মেলন করা হবে। সবচেয়ে প্রাচীন রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। কোনো সমস্যা না থাকলে আওয়ামী লীগ একমাত্র সংগঠন, যারা তিন বছর পরপর ঠিকমতো কাউন্সিল করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী কাউন্সিল করে সুন্দর একটি কমিটির নতুন যাত্রা শুরু হবে।

সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহ্‌রিয়ার আলম, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নূরুল ইসলাম, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামানসহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।