চট্টগ্রাম বন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা 'অ্যালার্ট-৪' জারি

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চট্টগ্রাম বন্দর জেটি থেকে জাহাজ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বন্দরের সব জেটি এখন ফাঁকা। ছবি: প্রথম আলো
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চট্টগ্রাম বন্দর জেটি থেকে জাহাজ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বন্দরের সব জেটি এখন ফাঁকা। ছবি: প্রথম আলো

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর প্রভাবে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে আজ শনিবার সকালে চট্টগ্রাম বন্দর জেটি থেকে সব জাহাজ সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানো-নামানো বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখন পণ্য খালাসও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ করে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকালে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহা বিপৎসংকেত দেখাতে বলেছে। এরপরই চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে নিজস্ব সর্বোচ্চ সতর্কতা সংকেত ‘অ্যালার্ট-৪’ জারি করা হয়েছে। এই সতর্কতা জারির পর বন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক সকালে প্রথম আলোকে বলেন, বন্দরে পণ্য ওঠানো-নামানো, খালাসসহ সব কার্যক্রম এখন বন্ধ আছে। সব জাহাজ সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে যাতে জেটি ও যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য জাহাজ সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

১৯৯২ সালে বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রণীত ঘূর্ণিঝড়-দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনা অনুযায়ী, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেতের ভিত্তিতে চার ধরনের সতর্কতা জারি করে বন্দর। আবহাওয়া অধিদপ্তর ৩ নম্বর সংকেত জারি করলে বন্দর প্রথম পর্যায়ের সতর্কতা বা ‘অ্যালার্ট-১’ জারি করে। ৪ নম্বর সংকেতের জন্য বন্দর অ্যালার্ট-২ জারি করে। এ ছাড়া বিপৎসংকেত ৫, ৬ ও ৭ নম্বরের জন্য ‘অ্যালার্ট-৩’ জারি করা হয়। মহা বিপৎসংকেত ৮, ৯ ও ১০ হলে বন্দরেও সর্বোচ্চ সতর্কতা বা ‘অ্যালার্ট-৪’ জারি করা হয়। তখন বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। জেটি, যন্ত্রপাতি ও পণ্যের সুরক্ষার জন্য ১৯৯২ সাল থেকে এই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সকালে কনটেইনার ও পণ্য ওঠানো-নামানোর সব যন্ত্রপাতি নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। খালি কনটেইনারের দরজা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। জেটির আশপাশ এলাকা থেকে কনটেইনার সরিয়ে বন্দর ইয়ার্ডে রাখা হয়েছে।

বন্দরে সিসিটি ও এনসিটি টার্মিনাল পরিচালনাকারী সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন তানভীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, এখন জেটিতে কোনো জাহাজ নেই। জেটি, যন্ত্রপাতি ও কনটেইনার নিরাপদ রাখতে সব ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে।