ঘূর্ণিঝড় 'বুলবুলে' চাঁদপুর লঞ্চঘাটে অনেক যাত্রী আটকা

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’–এর প্রভাবে যাত্রীবাহী সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করায় রাত ১০টার পর থেকে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে আটকে পড়েছে অনেক যাত্রী। ছবি: আলম পলাশ
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’–এর প্রভাবে যাত্রীবাহী সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করায় রাত ১০টার পর থেকে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে আটকে পড়েছে অনেক যাত্রী। ছবি: আলম পলাশ

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’–এর প্রভাবে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ করায় গতকাল শুক্রবার রাত থেকে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে আটকে পড়েছে অনেক যাত্রী। আজ শনিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত খোলা জায়গায় অসহায়ভাবে এসব যাত্রীকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। আটকে পড়া যাত্রীদের বেশির ভাগই ভোলা, বরিশাল, বরগুনা ও পটুয়াখালী এলাকার।

কুমিল্লা থেকে আসা বরিশালের যাত্রী জমিস উদ্দিন বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কোনো সংকেত পাইনি। রাতে এসে দেখি সব লঞ্চ বন্ধ। এ কারণে সারা রাত লঞ্চঘাটেই বসে ছিলাম।

নিপা নামের বরিশালের আরেক লঞ্চযাত্রী বলেন, রাতে এভাবে খোলা আকাশে পুরুষেরা থাকতে পারলেও মহিলাদের বিরাট সমস্যা। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দেখা দরকার।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নৌবন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমরা কাল থেকে সংকেত দিচ্ছি। এখন যেসব যাত্রী আছে, তাদের নিজ দায়িত্বে গন্তব্যে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এর বেশি কিছু আমাদের করার নেই।’

ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শুক্রবার রাত ১০টায় চাঁদপুর থেকে সব ধরনের লঞ্চ ও নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তী নির্দেশ না পওয়া পর্যন্ত ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ সব রুটের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে নিশ্চিত করা হয়।

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’–এর প্রভাবে চাঁদপুর-শরীয়তপুর রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ। আজ সকাল ৯টা থেকে এ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তা বন্ধ থাকবে। ফলে মেঘনা নদীর দুই পাড়ে শতাধিক যানবাহন আটকা পড়েছে।

বিআইডব্লিউটিসি চাঁদপুর–হরিনা ফেরিঘাট ম্যানেজার ফয়সাল আহমেদ জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে চাঁদপুর-শরীয়তপুর রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে এ নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হবে।

গতকাল সন্ধ্যায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের বাসভবনে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় এক জরুরি সভা হয়। চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান বলেন, বুলবুল মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। এ ছাড়া চরাঞ্চলের সব লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে আসার জন্য মাইকিং করে নির্দেশ দেওয়া হয়।

দুর্যোগ–পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৫৮টি মেডিকেল টিম, স্থানীয় স্কাউট, রেড ক্রিসেন্ট, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।