নাইমুলের মৃত্যুতে ক্ষোভ, মানববন্ধন

নাইমুল আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন করা হয়। কারওয়ান বাজার, ঢাকা, ০৯ নভেম্বর। ছবি: প্রথম আলো
নাইমুল আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন করা হয়। কারওয়ান বাজার, ঢাকা, ০৯ নভেম্বর। ছবি: প্রথম আলো

রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী নাইমুল আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের বিচার দাবিতে শাহবাগ এবং কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এর নেতৃত্ব ছিলেন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা–কর্মী। দুটি স্থানের ব্যানার, ফেস্টুন, স্লোগান একই ছিল।

গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে জড়ো হয়ে মানববন্ধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। ‘প্রথম আলো বয়কট করো’, ‘কিশোর আলো বয়কট করো’ লেখাসহ বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে স্লোগান দেন তাঁরা। শাহবাগের পর কারওয়ান বাজারে মানববন্ধন করেন তাঁরা। নিজেদের তেজগাঁও কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী বলে পরিচয় দেন তাঁরা।

কারওয়ান বাজারে বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ খান বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে চার দফা দাবি ঘোষণা করেন। দাবিগুলো হলো দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আবরার হত্যার বিচার করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠান আয়োজন বন্ধ করা, প্রথম আলোকিশোর আলো নিষিদ্ধ করা।

শাহবাগে মানববন্ধনেও নেতৃত্বে ছিলেন আবদুল্লাহ খান। তিনি ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হল সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক রাব্বী হক ও কর্মী বেলাল হোসেন, পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সমাজসেবা সম্পাদক ও হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী আদনান হাবিব খান, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী আবদুল্লাহ সাউমেয়ী এবং মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী উবায়দুল্লাহ রিদওয়ান দুটি কর্মসূচিতে অংশ নেন। এঁদের মধ্যে বেলাল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মানববন্ধনে উপস্থিত থাকার কথা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা মিটিং করছি, নতুন কর্মসূচি দেব।’

আজ নাইমুলের ময়নাতদন্ত
নাইমুল আবরারের দাফনের আট দিনের মাথায় গতকাল কবর থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। আজ রোববার নোয়াখালীর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে তার ময়নাতদন্ত করা হবে।

গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর ধন্যপুর গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে লাশটি উত্তোলন করা হয়। নোয়াখালীর নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইলিশায় রিছিলের উপস্থিতিতে কবর থেকে লাশটি তোলা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল আলীম সেখানে উপস্থিত ছিলেন।