খুলনা ছেড়েছে বুলবুল, আঘাত হেনেছে সাতক্ষীরায়

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে সমুদ্রবন্দরগুলোতে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেওয়া হয়েছে। রাত থেকেই ঝোড়ো বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি হচ্ছে। বরিশাল নগরের অলিগলিগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। পলিটেকনিক রোড, বরিশাল, ১০ নভেম্বর। ছবি: সাইয়ান
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে সমুদ্রবন্দরগুলোতে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেওয়া হয়েছে। রাত থেকেই ঝোড়ো বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি হচ্ছে। বরিশাল নগরের অলিগলিগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। পলিটেকনিক রোড, বরিশাল, ১০ নভেম্বর। ছবি: সাইয়ান

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আরও সামান্য উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ রোববার ভোর পাঁচটায় সুন্দরবনের কাছ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূল অতিক্রম শেষ করেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে এই তথ্য জানানো হয়।

শ্যামনগর উপজেলা থেকে প্রথম আলোর সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, শনিবার দিবাগত রাত তিনটা থেকে প্রবল বর্ষণসহ সেখানে প্রচণ্ড বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ তিনি জানিয়েছেন, চুনো নদীর পানি বেড়ে শ্যামনগরের সুন্দরবন লাগোয়া জতীন্দ্রনগর এলাকার রাস্তা-ঘাট প্লাবিত হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়, ‘বুলবুল’ বর্তমানে খুলনা ও বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে (২২.০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.৪ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ক্রমশ দুর্বল হতে পারে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

বুলেটিনে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহা বিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একই মহা বিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ।

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহা বিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একই সংকেতে প্রযোজ্য উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর ক্ষেত্রে।

কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকাকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলাসমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৮০-১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ঘূর্ণিঝড় ও মুন ফেজ এর প্রভাবে এসব এলাকার নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।