ভোলায় ৩৫ ঘর বিধ্বস্ত, আহত ১৮

প্রথম আলো ফাইল ছবি
প্রথম আলো ফাইল ছবি

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে ভোলার লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলায় ঝড়ে ৩৫টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় ১৮ জন আহত হয়েছে। লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ও লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়ন এবং চরফ্যাশনের ওসমানগঞ্জ ও এওয়াজপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

গতকাল শনিবার রাত ৯টা থেকে ভোররাতের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আহত লোকজন ভোলা, চরফ্যাশন ও লালমোহন উপজেলার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বৃষ্টিতে পথঘাট ডুবে গেছে। গাছপালা ভেঙে পড়েছে।

ললালমোহনের লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, ইউনিয়নের ফাতেমাবাদ ও প্যারিমোহন গ্রামে ঝড়ের আঘাতে বেশকিছু গাছ ও ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে প্রাথমিকভাবে পেয়ারীমোহন গ্রামের সাজেদা বেগম, তারেকুল ইসলাম, আরিফুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমানসহ ১৫ জন আহত হয়েছে। চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচ, লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চার, ভোলা সদর হাসপাতালে এক এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রে পাঁচজন চিকিৎসাধীন। এ দুই গ্রামে প্রাথমিকভাবে ২২টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়ন সূত্র জানায়, পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবদুর রশিদ মাল, তাঁর ছেলে ইমরান ও তিশান ঘর চাপা পড়ে আহত হয়েছে।

লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. ইব্রাহীম জানান, রাত নয়টার দিকে ঝড়ের মধ্যে ভয়ঙ্কর আওয়াজ শুনতে পান। মুহূর্তের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে ওই এলাকার আ. রশিদ মালসহ একই বাড়ির আরও দুটি ঘরের চাল উড়িয়ে নিয়ে যায়। এ সময় বাড়ি ও গ্রামের বেশ কিছু গাছপালাও উপড়ে যায়।

চরফ্যাশন উপজেলার ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের একরামুল আলম বলেন, উপজেলার ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল মোতালেব ও তাঁর ছেলে মামুন ও বিল্লালের ঘর এবং পাশের বাড়ির আবদুল মুনাফের বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় ওই এলাকার রাস্তার গাছপালাও উপড়ে পড়েছে।

চরফ্যাশন উপজেলার এওয়াজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুব আলম খোকন জানান, রাত ৮টার পর ওই ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ১০টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় এলাকার রাস্তাঘাটের গাছপালা উপড়ে গেছে।

লালামোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান (রুমি) জানান, তিনি এখন পর্যন্ত (১০টা) ৮ জন আহত এবং ৩০টি ঘর বিধ্বস্তের খবর শুনেছেন। এগুলো উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ, পশ্চিম চর উমেদ ও রায়চাঁদ ইউনিয়নের। আহত লোকজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।