সরকারের প্রস্তুতিতে বুলবুলে ক্ষতি হয়নি, প্রধানমন্ত্রীর নির্ঘুম রাত: তথ্যমন্ত্রী

শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে শহীদ নূর হোসেন সংসদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ, ঢাকা, ১০ নভেম্বর। ছবি: পিআইডি
শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে শহীদ নূর হোসেন সংসদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ, ঢাকা, ১০ নভেম্বর। ছবি: পিআইডি

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলা পর্যবেক্ষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ। মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলার প্রস্তুতি ও পরবর্তী করণীয় বিষয়ে বারবার নির্দেশনা দিয়েছেন, নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন।’

তথ্যমন্ত্রী আজ রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কার্যালয়ে শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে শহীদ নূর হোসেন সংসদ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপি বলেছে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি নাকি যথেষ্ট নয়। অথচ ব্যাপক ও পর্যাপ্ত প্রস্তুতির ফলে প্রাণ ও সম্পদ উভয়ই ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি তাদের বলব নিজের চেহারাটা আয়নায় দেখতে। কারণ, তাদের সময়ে ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে পাঁচ লাখ প্রাণহানি ও ব্যাপক সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। চট্টগ্রাম বিমানঘাঁটির অনেক বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল শুধু অবহেলায়। বিমান তো উড়িয়েই ঢাকা আনা যেত। নিরাপদ জায়গায় নোঙর না করায় জাহাজও উঠে এসেছিল রাস্তায়।’

মন্ত্রী এ সময় এ দেশের মানুষের প্রতি বঙ্গবন্ধুকন্যার গভীর মমতার কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেহনতি মানুষের জীবনের উন্নয়ন ঘটিয়েছেন। সে কারণেই শেখ হাসিনার অপর নাম গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর দেশ ও জাতির উন্নয়ন। হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নূর হোসেনের রক্ত বৃথা যায়নি। নূর হোসেনসহ সব শহীদের রক্তে আমাদের গণতন্ত্র আজ সুপ্রতিষ্ঠিত। নব্বইয়ের ১০ নভেম্বর সেদিন শুধু নূর হোসেনই নয়, টার্গেট ছিলেন শেখ হাসিনাও।’

উল্লেখ্য, এ সময় হাছান মাহমুদ সবাইকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর শুভেচ্ছা জানান। শহীদ নূর হোসেন দিবস উদ্‌যাপন কমিটির সভাপতি তছলিম আহমদের সভাপতিত্বে সভায় সাংসদ নূরুল আমিন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম, শহীদ নূর হোসেনের বড় ভাই মোহাম্মদ আলী হোসেন প্রমুখ সভায় নূর হোসেনের স্মৃতিচারণা করেন।