শাহজালালে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার আসামি রিমান্ডে
ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অস্ত্র-গুলিসহ একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামির নাম হাসান আলী (৩৫)। তাঁর গ্রামের বাড়ি যশোর চৌগাছায়। বাবার নাম জহর আলী। পুলিশ বলছে, হাসান আলী আন্তর্জাতিক অস্ত্র চোরাচালান দলের সক্রিয় সদস্য।
বিমানবন্দরে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হাসান আলীকে আজ শনিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে বিমানবন্দর থানা-পুলিশ। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত এই আসামিকে এক দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন।
অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের ঘটনায় হাসানের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন ও অস্ত্র আইনে মামলা করেন ঢাকার কাস্টমস হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল মোত্তালেব।
মামলার এজাহার, পুলিশ ও আদালত সূত্র বলছে, আসামি হাসান আলী টার্কিশ এয়ারলাইনের একটি ফ্লাইটে গত শুক্রবার বিকেলে ঢাকায় বিমানবন্দরে নামেন। কিন্তু আসামি আগে ঘোষণা দেননি যে, তাঁর কাছে পিস্তল রয়েছে। বরং কাস্টমস বিভাগের কর্মকর্তারা তাঁর কাছে জানতে চাইলে, তিনি সোজা বলে দেন, তাঁর হেফাজতে কোনো পিস্তল নেই। তবে আসামির বহনকারী ব্যাগগুলো স্কানিং করা হলে ব্যাগের ভেতর পিস্তল ও গুলির অস্তিত্ব ধরা পড়ে। তখন আসামি হাসানকে নিয়ে আসা হয় কাস্টমস ব্যাগেজ কাউন্টারে। এরপর বিমানবন্দরে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে হাসানের ব্যাগ তল্লাশি করা হয়। তখন কালো রঙের একটা প্লাস্টিক বাক্সে একটা পিস্তল ও এক’শ পিচ গুলি পাওয়া যায়। পিস্তলটি ইতালির তৈরি।
হাসান আলীর কাছ থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধারের ব্যাপারে ঢাকার আদালতকে প্রতিবেদন দিয়ে পুলিশ বলছে, অস্ত্র ও গুলি বহন করার ব্যাপারে বৈধ কাগজ দেখাতে পারেননি আসামি। আসামি হাসান আলী আন্তর্জাতিক অস্ত্র চোরাচালানকারী দলের সক্রিয় সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে। হাসান ইতালিপ্রবাসী হলেও বারবার দেশে আসা-যাওয়ার মাধ্যমে অন্যান্য সহযোগীদের সহায়তায় অস্ত্র ব্যবসা করেন বলে জানা গেছে।
তদন্ত কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার পরিদর্শক কায়কোবাদ কাজী আদালতকে জানান, আসামি হাসানের কাছ থেকে পাওয়া অস্ত্রের জোগানদাতা কে এবং বাংলাদেশে কার কাছে অস্ত্র হস্তান্তর করত তা জানার জন্য তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।
কায়কোবাদ কাজী প্রথম আলোকে বলেন, হাসান আলী আন্তর্জাতিক অস্ত্র চোরাচালানকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে তারা ধারণা করছেন। হাসানের অন্যান্য সহযোগীদের গ্রেপ্তারের জন্য রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।