প্রায় দুই দিন ধরে সদরঘাটে নৌযান চলাচল বন্ধ

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে সকালে ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনালে নোঙর করে থাকে লঞ্চ। সদরঘাট, ঢাকা, ১০ নভেম্বর। ছবি: দীপু মালাকার
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে সকালে ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনালে নোঙর করে থাকে লঞ্চ। সদরঘাট, ঢাকা, ১০ নভেম্বর। ছবি: দীপু মালাকার

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’–এর কারণে প্রায় দুই দিন ধরে ঢাকার সদরঘাটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ আছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনাল থেকে আজ রোববার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত কোনো যাত্রীবাহী লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় অনেক যাত্রী পরিবার–পরিজন ও মালামাল নিয়ে টার্মিনাল এলাকায় অবস্থান করছেন।

শুক্রবার নৌ–নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনালে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ঢাকা নদীবন্দর থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ৪২ রুটে কোনো যাত্রীবাহী লঞ্চ ছেড়ে যায়নি।

আজ বেলা তিনটার দিকে ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে টার্মিনাল এলাকার বেশির ভাগ লঞ্চ অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত গন্তব্যের লঞ্চ না পেয়ে নৌপথের বিভিন্ন রুটের যাত্রীরা মালামাল ও পরিবার–পরিজন নিয়ে দুই দিন ধরে টার্মিনালে অবস্থান করছেন।

ঢাকার খিলগাঁও এলাকা থেকে আসা আবদুল আজিজ বলেন, ‘গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সদরঘাট থেকে বরিশাল যাওয়ার উদ্দেশে সদরঘাট টার্মিনালে আসি। সেদিন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে লঞ্চ ছাড়ার কথা ছিল। দুর্যোগের কারণে লঞ্চমালিকেরা লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখায় ছেলেমেয়ে নিয়ে টার্মিনালে শুয়েছিলাম। দুই দিন ধরে টার্মিনালে লঞ্চ ছাড়ার অপেক্ষায় আছি।’

কাঁচপুর থেকে আসা বিলকিস বেগম বলেন, ‘হাতিয়া যাওয়ার উদ্দেশে গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে টার্মিনালে আসি। লঞ্চে আমাদের কেবিন বুকিং ছিল। টার্মিনালে এসে শুনি লঞ্চ চলাচল বন্ধ। ভেবেছিলাম, গতকাল শনিবার কর্তৃপক্ষ লঞ্চ ছাড়বে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের কারণে লঞ্চ না ছাড়ায় পরিবার–পরিজন নিয়ে দুই দিন ধরে টার্মিনালে বসে আছি।’

বিআইডব্লিউটিএর নৌ–নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক আলমগীর কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আজ দুপুরের পর থেকে আবহাওয়া পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও ঢাকা বন্দরে ২ নম্বর বিপৎসংকেত আছে। তাই লঞ্চ চলাচল চালু হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে লঞ্চ চলাচল শুরু করা হবে।