ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে সারা দেশে ৮ জনের মৃত্যু

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে ভোলার লালমোহন উপজেলায় গাছ পড়ে অনেক বাড়িঘর দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। ছবিটি রোববার উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের প্যারিমোহন এলাকা থেকে তোলা। ছবি: নেয়ামতউল্যাহ
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে ভোলার লালমোহন উপজেলায় গাছ পড়ে অনেক বাড়িঘর দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। ছবিটি রোববার উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের প্যারিমোহন এলাকা থেকে তোলা। ছবি: নেয়ামতউল্যাহ

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে সারা দেশে আটজন প্রাণ হারিয়েছেন। বরিশাল ও খুলনা বিভাগের মোট ছয় জেলায় এই আটজন মারা গেছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়।

মারা যাওয়া আটজনের মধ্যে সাতজনই গাছ চাপা পড়ে মারা গেছেন বলে জানানো হয়েছে। বাকি একজন আশ্রয়কেন্দ্রে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আটজনের মধ্যে ছয়জনই মারা গেছেন রোববার। অপর দুজন মারা গেছেন গতকাল শনিবার।

বরিশাল বিভাগের বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা ও পিরোজপুর- এই চার জেলায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- বরিশালের উজিরপুর উপজেলার আশালতা দেবী (৬৫), পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার হামিদ কাজী (৬৫), বরগুনা সদর উপজেলার হালিমা খাতুন (৭০) ও পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার ননী মণ্ডল (৫৫)। এদের মধ্যে হালিমা খাতুন আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা অবস্থায় হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

গাছ পড়ে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে পটুয়াখালীর অনেক ঘরবাড়ি। ছবিটি রোববার পটুয়াখালীর রামপুর এলাকা থেকে তোলা। ছবি: জাকির হোসাইন
গাছ পড়ে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে পটুয়াখালীর অনেক ঘরবাড়ি। ছবিটি রোববার পটুয়াখালীর রামপুর এলাকা থেকে তোলা। ছবি: জাকির হোসাইন

খুলনা বিভাগের দুই জেলা মিলিয়ে আরও চারজন মারা গেছেন। গাছ চাপা পড়ে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় আলমগীর (৪০) ও দাকোপ উপজেলায় প্রমিলা মণ্ডল (৫২) মারা গেছেন। বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় মারা গেছেন হিরা বেগম (২৫), আর রামপাল উপজেলায় মারা গেছে শিশু সামিয়া (১৫)। এরা দুজনও গাছ চাপায় মারা গেছেন।

এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে আহত হয়েছেন ১৫ জন। এদের মধ্যে ৯ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বাকি ৬ জনকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় পটুয়াখালী ও বাগেরহাটে দুই শিশুর জন্ম হয়েছে। দুটি নবজাতকই ডাক্তার ও স্বাস্থ্যসেবাকর্মীদের সেবা পেয়েছে।