ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার, স্ত্রীসহ আটক ২

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার খাল্লা গ্রামের কলাবাগান থেকে গতকাল রোববার বাচ্চু মিয়া (২৫) নামের এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ নিহত যুবকের স্ত্রী রিনা আক্তার ও তাঁর কথিত বন্ধু রফিক মিয়াকে আটক করেছে।

বাচ্চু মিয়ার পরিবারের দাবি, পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় রিনা তাঁর কথিত বন্ধুকে নিয়ে বাচ্চুকে হত্যা করেছেন। বাচ্চুর বাড়ি উপজেলার বাহেরচর দক্ষিণপাড়ায়।

পুলিশের ভাষ্য, পরকীয়ার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

নিহতের পরিবার, এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাচ্চু মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের রফিক মিয়ার বন্ধুত্ব ছিল। এর সূত্র ধরে বাচ্চুর বাড়িতে রফিকের আসা-যাওয়া। একপর্যায়ে বাচ্চুর স্ত্রী রিনার সঙ্গে রফিকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সালিস বৈঠকও হয়। উপজেলার বাহেরচর বাজারে বাচ্চুর মুদি মালের দোকান আছে। গত শনিবার বিকেলে দোকানের জন্য মালামাল কিনতে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে রফিকের মোটরসাইকেলে করে উপজেলার ছয়ফুল্লাকান্দি বাজারে যান বাচ্চু। পরে আর বাচ্চু ফিরে আসেননি।

বাচ্চুর বড় ভাই মেজবাহ উদ্দিন স্বজনদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও বাচ্চুর কোনো সন্ধান পাননি। এ সময় তাদের সঙ্গে রফিকও যোগ দেন। গতকাল সকালে রফিক জানান, কেউ একজন তাঁকে বলেছেন যে খাল্লা গ্রামের কলাবাগানে বাচ্চুর লাশ পড়ে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ সময় পরিবারের লোকজন নিহতের স্ত্রী রিনা আক্তার ও রফিককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।

বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহ উদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, পরকীয়ার জের ধরেই বাচ্চুকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের গলার বাম পাশে গভীর জখম আছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। নিহত বাচ্চুর ছোট ভাই আলমগীর হোসেন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেছেন।