ধর্ষণের ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার ১২

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও মুঠোফোনে ধারণ ও পরে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে মামলা করেছে ওই ছাত্রীর বাবা। পুলিশ এ ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল রোববার দুপুরে ওই ছাত্রীর বাবা মামলা করলে বিকেলে পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের মহাদেবপুর গ্রামের মেহেদী হাসান (২২) রাজিব মন্ডল (১২), রাসেল হোসেন (২০) সাহাপুর গ্রামের রাব্বি হোসেন (২০) শিহাব হোসেন (১৯) শামিম হোসেন (২২, সৈকত হোসেন (২২) রাজু আহমেদ (২০) শফিউল ইসলাম(২১) ইমন আলী (২১) আশিক (২১) ও উপজেলা সদরের মাহফুজ আহমেদ (২০) ।

স্থানীয় লোকজন ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, তরুণীটি স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। বেশ কিছুদিন ধরে কলেজ যাওয়া-আসার পথে মেহেদী হাসান তাঁকে উত্ত্যক্ত করত। গত ৬ জুন কলেজে যাওয়ার পথে মেহেদী অস্ত্রের মুখে তাঁকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। একই সঙ্গে সেই দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে। এ অবস্থায় গত আগস্ট মাসে তরুণীটিকে বিয়ে দেয় তাঁর পরিবার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মেহেদী ভিডিওটি গ্রেপ্তারকৃত অন্যদের সহযোগিতায় ওই তরুণীর স্বামীকে পাঠায় ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এরপর তরুণীকে তাঁর স্বামী তালাক দেয়। এসব ঘটনায় তরুণীটি ব্যক্তিজীবনের পাশাপাশি সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকী প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা, পর্নোগ্রাফি ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধ আইনে একটি মামলা করেছেন। মামলা দায়েরের পরই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।