৩-৪ বছরের মধ্যে সারা দেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ

সারা দেশে আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে শতভাগ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আজ সোমবার সংসদে বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশীদের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

নসরুল হামিদ বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় তাদের দেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে সময় নিয়েছে ৫০ বছর। আমাদের অতটা সময় লাগবে না। আমি কখনোই বলিনি যে সারা দেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পেরেছি। তবে আমরা ৩ থেকে ৪ বছরের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারব।

সরকারি দলের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইডকলের অর্থায়ন ও টিআর/কাবিটা প্রকল্পের অধীনে বর্তমানে সৌর বিদ্যুতের গ্রাহক ৬০ লাখ ৩৮ হাজার ৩০৩টি। এর মধ্যে ইডকলের নিজস্ব অর্থায়নে ৪১ লাখ ৬৫ হাজার ৯৯১, টিআর/কাবিটা প্রকল্পের অধীনে ইডকলের স্থাপিত গ্রাহক ১১ লাখ ২৭ হাজার ১৫৮ এবং অন্যান্য সংস্থার স্থাপিত ৭ লাখ ৪৫ হাজার ১৫৪।

* সারা দেশে তিন থেকে চার বছরের মধ্যে শতভাগ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ
*বর্তমানে মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ৫১০ কিলোওয়াট
*১০ বছরে ৬ বার বিদ্যুতের দাম বেড়েছে
* আবাসিকে গ্যাস সংযোগ আপাতত স্থগিত

মানিকগঞ্জ-২ আসনের মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ৫১০ কিলোওয়াট। সারা দেশে অফগ্রিড এলাকায় স্থাপিত সোলার হোম সিস্টেমের সংখ্যা ৫০ লাখ ৫৯ হাজার ৬৯টি।

বিএনপির গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, বর্তমান সরকারের আমলে ১০ বছরে ৬ বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে।

এই সংসদ সদস্যের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতাগ্রহণের পর থেকে (২০০৯-২০১৯) এ পর্যন্ত গৃহস্থালি, বিদ্যুৎ ও সার খাতে চারবার, শিল্প, ক্যাপটিভ পাওয়ার, চা ও বাণিজ্যিক খাতে পাঁচবার এবং সিএনজি খাতে ছয়বার গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৯ সালে সব শ্রেণির গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে।

জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, আবাসিক এলাকায় গৃহস্থালি কাজে ব্যবহারের জন্য গ্যাস সংযোগ প্রদানের কোনো পরিকল্পনা সরকারের আপাতত নেই। প্রাকৃতিক গ্যাসের সর্বোত্তম ব্যবহার ও বিকল্প জ্বালানি সহজলভ্য হওয়ায় আবাসিকে গ্যাস সংযোগ স্থগিত আছে। বর্তমানে বাসাবাড়িতে পাইপলাইন গ্যাসের পরিবর্তে এলপিজি ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

সরকারি দলের বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২২ হাজার ৫৬২ মেগাওয়াট। গ্রিডভিত্তিক উৎপাদন ক্ষমতা ১৯ হাজার ৪২৮ মেগাওয়াট। এর মধ্যে সরকারি খাতে ৯ হাজার ৭৪০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৫৪টি ও বেসরকারি খাতে ৮ হাজার ৫২৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৮২টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। এক হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে।

প্রশ্নোত্তরের আগে বিকেল সোয়া চারটার পর স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।