মন্ত্রিসভায় পিপিপি সংশোধন আইনের খসড়া অনুমোদিত

বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের সরকারি পর্যায়ে (জি টু জি) প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের বিষয়টি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (সংশোধন) আইনের মধ্যে নিয়ে আসা হচ্ছে। এই বিধান রেখে সংশোধিত আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সংক্ষেপে এটি পিপিপি আইন নামে পরিচিত।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে সংবাদ সম্মেলন করে সভার সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পিপিপি আইন-২০১৫ তে জি টু জি প্রকল্পের কোনো বিধান ছিল না। কিন্তু পিপিপি আইন প্রবর্তিত হওয়ার পর সরকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে পিপিপি প্রকল্প (জি টু জি-পিপিপি) বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে। ইতিমধ্যে ‘পলিসি ফর ইমপ্লিমেন্টিং পিপিপি প্রজেক্টস থ্রু গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট পার্টনারশিপ-২০১৭’ এর আওতায় জাপান, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া এবং দুবাইয়ের সঙ্গে সমঝোতা বা সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। অন্যান্য দেশও এই প্রক্রিয়ায় প্রকল্প গ্রহণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে জি টু জি প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রস্তাবিত আইনে এ সংক্রান্ত উপধারা সংযোজন করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত আইনে বোর্ড অব গভর্নরস সভা বছরে একবার করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে বছরে ছয়বার করার কথা রয়েছে।

বৈঠকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) একাংশের সভাপতি ও চট্টগ্রাম-৮ আসনের সাংসদ মইন উদ্দীন খান বাদলের মৃত্যুতে শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করেছে মন্ত্রিসভা।