নিজ দলের কর্মী খুনের মামলায় আ. লীগ নেতা কারাগারে

নিহত ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস। ছবি: সংগৃহীত
নিহত ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস। ছবি: সংগৃহীত

নিজ দলের কর্মী খুনের মামলায় চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ ওসমান গণি শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। দিদারুল নগরের লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

আদালত সূত্র জানায়, নগর ছাত্রলীগের সহসম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যা মামলায় জামিনে ছিলেন দিদারুল। গত ১৫ অক্টোবর হাইকোর্ট তাঁর জামিন বাতিল করেছেন। একই সঙ্গে চার সপ্তাহের মধ্যে তাঁকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই আদেশ চট্টগ্রাম আদালতে এসে পৌঁছায়। ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যা মামলায় বাদী মেঘনাথ বিশ্বাসের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট জামিন বাতিলের আদেশ দেন।

আজ শুনানিতে আসামির পক্ষে প্রায় অর্ধশত আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী দিদারুল নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। জামিন বাতিলের আবেদনের বিষয়টি তাঁরা জানতেন না। এ জন্য একতরফা শুনানি হয়েছিল।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, আদালত আসামি দিদারুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সুদীপ্ত হত্যায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট থেকে জামিন পান দিদারুল। এর আগে গত ৪ আগস্ট ঢাকার বনানী থেকে দিদারুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরে তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। গ্রেপ্তারের পর হাকিম আদালতে তাঁর জামিনের আবেদন করা হয়। সেখানে নাকচ হওয়ার পর মহানগর দায়রা জজ আদালতে গত ২৯ আগস্ট জামিন আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। সেখানে নাকচ হওয়ায় পর তাঁরা উচ্চ আদালতে যান। দিদারুল নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

নগর ছাত্রলীগের সহসম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসকে খুনের নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী ‘বড় ভাই’ হিসেবে দিদারুলের নাম উঠে আসে ছাত্রলীগ কর্মী মিজানুর রহমানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে। ১২ জুলাই চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম সারোয়ার জাহানের আদালতে এই জবানবন্দি দেন তিনি। ২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর নগরের সদরঘাট থানার দক্ষিণ নালাপাড়ার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে সুদীপ্তকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

দিদারুল আলম ঘটনার পর থেকে দাবি করে আসছেন ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাঁকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে।