সরকারের ব্যর্থতায় সড়ক ও রেল দুর্ঘটনা: ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলটির প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দেন। ফাইল ছবি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলটির প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দেন। ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ট্রেন দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের ব্যর্থতায় সড়ক ও রেল দুর্ঘটনা ঘটছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টা ৪৮ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা ও সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন দুটির মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন।

এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় অসংখ্য মানুষ মারা যাচ্ছে। ব্যর্থ হয়ে গেছে এই সরকার। কোনো কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। রেল দুর্ঘটনাও তো অনেকগুলো ঘটল। কীভাবে? কারণ, কোনো জবাবদিহি নেই।’

খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) নিজের হাতে ধরে কিছু খেতে পারেন না। তাঁকে খাইয়ে দিতে হয়। হুইল চেয়ার ছাড়া চলতে পারেন না। বিছানা থেকেও অন্যের সাহায্য ছাড়া উঠতে পারেন না। অথচ সরকারের মদদপুষ্ট হাসপাতালের পরিচালক বলেন যে তিনি সুস্থ আছেন। তাঁর কোনো অসুবিধা নেই। আগের চেয়েও সুস্থ আছেন। খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হচ্ছে।’

রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সরকার জোরালো প্রতিবাদ জানাতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, গাম্বিয়া আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করেছে। অথচ বাংলাদেশ সরকার সেভাবে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। সরকারের সঙ্গে যাদের সম্পর্ক সবচেয়ে ভালো, তারাই মিয়ানমারকে সমর্থন জোগাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ভারত বঙ্গোপসাগরে পর্যবেক্ষণের জন্য রাডার লাগাচ্ছে জানিয়ে এর ব্যাখ্যা চান বিএনপির মহাসচিব। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে সরকারের কাছে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দাবি করেন তিনি।

গণমাধ্যমে স্বাধীনতা নেই উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সাংবাদিকেরা, রাজনৈতিক নেতারা ভিন্নমত প্রকাশ করতে পারেন না। শিক্ষার্থীরা যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে নিজেদের মতামত দেন, তাদেরও গ্রেপ্তার করে। কেউ মন খুলে কথা বলতে পারে না। সবাই ভয়ে ভয়ে থাকে। যেকোনো ঘটনা ঘটলে আসামি অজ্ঞাতনামা ৫ হাজারের ওপর। সাধারণ মানুষকেও রেহাই দেওয়া হয় না।