কাস্টমসের লকার থেকে ১৯ কেজি সোনা গায়েব, বরখাস্ত ৫

যশোরের বেনাপোল কাস্টম হাউসের লকার থেকে ১৯ কেজি ৩৮৫ গ্রাম ওজনের সোনা চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কাস্টম হাউসের পক্ষ থেকে আজ মঙ্গলবার বেনাপোল বন্দর থানায় মামলা করা হয়েছে।

এদিকে দায়িত্বে অবহেলার কারণে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক শাহিবুর সরদারসহ পাঁচজনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

ঘটনার তদন্তের জন্য বেনাপোল কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মো. শহিদুল ইসলামকে প্রধান করে ৯ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাত কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

চুরি যাওয়া অধিকাংশ সোনাই চোরাচালানের বিভিন্ন মামলার আলামত হিসেবে লকারে রাখা ছিল।

পুলিশ ও বেনাপোল কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, সাপ্তাহিক ও ঈদে মিলাদুন্নবীর তিন দিনের ছুটি শেষে গতকাল সোমবার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেনাপোল কাস্টম হাউসের কাজে যোগ দেন। গতকাল সকালেই এক কর্মকর্তা দেখেন, কাস্টমসের গুদামের মূল্যবান জিনিসপত্র রাখার লকার খোলা। বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানান। পরে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে লকার খোলা হয়। এরপর লকারের জিনিসপত্রের হিসাব করে দেখা যায়, সেখান থেকে ১৯ কেজি ৩৮৫ গ্রাম সোনা সরানো হয়েছে।

বেনাপোল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, যে লকার থেকে সোনা চুরি হয়েছে, সেটার তালা ভাঙা হয়নি। বিকল্প চাবি দিয়ে খোলা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলাটি করেছেন বেনাপোল কাস্টম হাউসের ইমদাদুল হক নামে এক কর্মকর্তা।

যে এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটেছে, সেটি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার (সিসি) আওতাভুক্ত।

সিসি ক্যামেরার ফুটেজে কী পাওয়া গেল, জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান যুগ্ম কমিশনার মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ওই দিন সিসি ক্যামেরার লাইন নষ্ট ছিল।

এক প্রশ্নের জবাবে বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হুসাইন চৌধুরী বলেন, ‘গুদামের মধ্যে মূল্যবান জিনিস রাখার জন্য কোনো ভল্ট নেই। তবে চার স্তরের নিরাপত্তাবেষ্টনী আছে। বাইরে থেকে চোর ঢুকে লকার থেকে সোনা চুরি করা খুব কঠিন ও কষ্টসাধ্য। এই চুরির সঙ্গে ভেতরের কারও যোগসূত্র থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আশা করছি, শিগগিরই আমরা চোর ধরে ফেলব।’