এখনো খোঁজ মেলেনি ৭ জেলের

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ও বালিয়াতলী ইউনিয়নের নিখোঁজ সাত জেলের এখনো হদিস মেলেনি। গত শুক্রবার তাঁরা বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। পরদিন শনিবার তাঁরা নিখোঁজ হন।

নিখোঁজ জেলেরা হলেন লালুয়া ইউনিয়নের চান্দুপাড়া গ্রামের মুনসুর হাওলাদার (২৫), মো. কাওসার খান (২৮), সুরুজ্জল হাওলাদার (২৫), মো. নয়ন প্যাদা (২৮), সোহেল শরীফ (২৫), সেরাজুল খান (২২) এবং বালিয়াতলী ইউনিয়নের বড় বালিয়াতলী গ্রামের মো. এলমাস হাওলাদার (৩৫)।

লালুয়া ইউনিয়নের চান্দুপাড়া গ্রামের ইউপির সদস্য মো. মাসুদ হাওলাদার বলেন, সাগরে যাওয়ার পর তাঁরা মাছও ধরেছেন। এক লাখ টাকার মাছ ভোলার একটি ঘাটে বিক্রি করেছেন। শনিবার সকালে আবহাওয়া ভালো দেখে ভোলা থেকে ট্রলারসহ তাঁরা আবার সাগরে মাছ ধরার জন্য নামেন। এরপর ট্রলারের মেশিন নষ্ট হয়ে যায়। মুঠোফোনের মাধ্যমে ট্রলারে থাকা জেলেদের সঙ্গে এসব কথা হয়েছে বলে ইউপির সদস্য মাসুদ হাওলাদার জানান। এরপর থেকে আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না এ জেলেদের।

এলমাস হাওলাদারের স্ত্রী নাসিমা বেগম, নয়ন প্যাদার স্ত্রী শাহনাজ বেগম, মুনসুর হাওলাদারের বাবা জাহাঙ্গীর হাওলাদার, নয়ন প্যাদার বাবা শাহ আলম প্যাদা বলেন, ঘূর্ণিঝড় শেষ হওয়ার পর ট্রলার-নৌকা নিয়ে দুদিন সাগরে তাঁরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন। তবে তাঁদের খোঁজ পাননি। গতকাল সোমবার ভোলায় যে নয়জন জেলের লাশ পাওয়া গেছে, তাঁর মধ্যে নিখোঁজ এই সাতজনের কারও মৃতদেহ আছে কি না, তা নিশ্চিত হতেও চেষ্টা করছেন তাঁরা।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুনিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি খবর পেয়েছি, কিছু জেলে দুর্যোগের কবলে পড়ে সুন্দরবন এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। এসব জেলে নৌবাহিনীর হেফাজতে আছে বলে শুনেছি। সেখানে এ জেলেরা আছে কি না, তা বলতে পারছি না। নৌবাহিনীর মাধ্যমে আমি খোঁজখবর নিচ্ছি।’