ইসির আরও দুই কর্মচারী গ্রেপ্তার

রোহিঙ্গাদের ভোটার করা ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতি মামলায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আরও দুই কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ওই দুই কর্মচারীকে তাঁদের নিজ নিজ কার্যালয় থেকে আটক করে মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। আজ বুধবার তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী মো. আবুল খায়ের ভূঁইয়া ও মিরসরাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী আনোয়ার হোসেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক রাজেস বড়ুয়া বলেন, আবুল খায়ের ভূঁইয়া ও আনোয়ার হোসেনের ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। এখন শুনানি হবে।

রাজেস বড়ুয়া জানান, একই মামলায় আগে গ্রেপ্তার হওয়া আটজনের মধ্যে তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁদের জবানবন্দি ও অন্য আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আবুল খায়ের ভূঁইয়া ও আনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ‘সরকারি চাকরি বিধিমালা-২০১৮’-এর ৪১ ধারা অনুযায়ী, ইসি সচিবালয়ের অনুমতির পর তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

লাকী নামের এক নারী গত ১৮ আগস্ট স্মার্ট কার্ড তুলতে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে গেলে কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়। পরে জেরার মুখে লাকী নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন। এ ঘটনার পর রোহিঙ্গাদের ভোটার করা ও এনআইডি পাইয়ে দেওয়ার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজতে অভিযান শুরু হয়। নির্বাচন কমিশন থেকেও একটি তদন্ত কমিটি করা হয়।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীনসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা। বাকি দুজন হলেন জয়নালের বন্ধু বিজয় দাশ ও তাঁর বোন সীমা দাশ। জয়নালের কাছে থাকা নির্বাচন কমিশনের একটি ল্যাপটপও উদ্ধার করা হয়। ওই রাতেই ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কর্মকর্তা পল্লবী চাকমা বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। পরে মামলার তদন্তভার পায় সিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।