পিরোজপুরে কিশোর হত্যায় দুই যুবকের মৃত্যুদণ্ড

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার বড় বিড়ালজুড়ি গ্রামের উজ্জ্বল আকন (১৫) নামের এক কিশোরকে হত্যার দায়ে দুই যুবককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সামছুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই যুবক হলেন লিটন আকন (২৯) ও সাহেদ হাওলাদার (৩১)। তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। লিটন আকনের বাড়ি উপজেলার বড় বিড়ালজুড়ি গ্রামে। সাহেদ হাওলাদারের বাড়ি একই উপজেলার গোসনতারা গ্রামে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, লিটন ও সাহেদ ২০১২ সালের ৮ জুলাই সকালে কিশোর উজ্জ্বলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কাউখালী বাজারের দিকে যান। উপজেলার আসপর্দি গ্রামের একটি পানের বরজে নিয়ে তাকে হত্যা করে তার সঙ্গে থাকা ১২ হাজার ৫০০ টাকা ও একটি মুঠোফোন নিয়ে যান তাঁরা। ঘটনার চার দিন পর ১২ জুলাই সকালে স্থানীয় লোকজন উজ্জ্বলের লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। উজ্জ্বলের বাবা ছেলের লাশ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় ওই দিন বাবা সহিদ আকন বাদী হয়ে লিটন আকনকে প্রধান আসামি করে চারজনের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় হত্যা মামলা করেন।

২০১৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নূরুল আমিন সিকদার আসামি লিটন আকন ও সাহেদ হাওলাদারের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় লিটন আকন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাহেদ হাওলাদার ঘটনার পর থেকে পলাতক।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) জহুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আসামিরা নগদ টাকা ও মুঠোফোনের জন্য পরিকল্পিতভাবে উজ্জ্বল আকনকে হত্যা করে।

আসামি লিটন আকনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন হিরালাল কণ্ডু। পলাতক আসামি সাহেদ হাওলাদারের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন (এস্টেট ডিফেন্স) মনসুর আহমেদ।