পাসপোর্ট করতে গিয়ে রোহিঙ্গা নারী আটক

মানিকগঞ্জের আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ে পাসপোর্ট করতে এসেছিলেন এক নারী। সঙ্গে ছিলেন স্বামীর পরিচয়ে একজন ও শনাক্তকরী আইনজীবী। তবে ওই নারীর কথাবার্তায় সন্দেহ হয় কার্যালয়ের এক কর্মকর্তার। তিনি সন্ধান করে বুঝতে পরেন, ওই নারী রোহিঙ্গা। পরে ওই তিনজনকে পুলিশে দেওয়া হয়।

জেলা আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ে আজ বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আটক স্বামীর পরিচয় দানকারীর নাম রেজাউল করিম ও শনাক্তকারী আইনজীবীর নাম মনোয়ার হোসেন।

জেলা আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুর ১২টার দিকে জেলা পাসপোর্ট কার্যালয়ে জান্নাত আক্তার নামের এক নারী পাসপোর্ট করতে যান। তাঁর পাসপোর্ট আবেদন ফরমে স্বামীর নাম রেজাউল করিম ও বাবার নাম আবদুল হাই উল্লেখ করা ছিল। জেলার সাটুরিয়া উপজেলার দিঘুলিয়া ইউনিয়নের বেংরই গ্রামে তাঁদের বাড়ি জানিয়ে তথ্য ফরমে লিপিবদ্ধ করেন। সেখানে জান্নাতের জন্ম দেখানো হয়েছে ২০০০ সালের ১০ জুন।

জেলা আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাকসুদুর রহমান বলেন, ওই নারীর কথাবার্তায় সন্দেহ হলে তাৎক্ষণিক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিবন্ধিত ওয়েব সার্ভারে অনুসন্ধান করেন। এতে দেখা যায়, পাসপোর্ট আবেদনকারী জান্নাত আক্তার বাংলাদেশি নন, রোহিঙ্গা নারী। তাঁর আসল নাম আসমা। বাবা সিরাজুল হক। ২০১৭ সালের ১০ অক্টোবর তাঁর পরিচয় টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিবন্ধিত হয়।

মামসুদুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গা নারীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হয়।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান বলেন, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।