খুলনায় হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন

খুলনায় আলোচিত সেতু ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপক মো. ইউনুস আলীকে হত্যার দায়ে তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এ ছাড়া ওই প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা লুটের ঘটনায় দণ্ডবিধির ৩৮০ ধারায় একই আসামিদের প্রত্যেককে সাত বছর করে কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের জেল দেওয়া হয়েছে। ওই মামলার অন্য তিন আসামিকে তথ্য গোপন করার অপরাধে দণ্ডবিধির ২০১ ধারায় দুই মাসের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রোজিনা আক্তার আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় দেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন নগরের ফুলবাড়িগেট এলাকার মো. সাব্বির হোসেন, একই এলাকার শেখ রুবায়েত হোসেন ও নগরের মৌলভীপাড়া টিভি বাউন্ডারি সড়কের চেয়ারম্যান বাড়ির ভাড়াটে মো. সোহেল শেখ। দুই মাসের কারাদণ্ড পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন নগরের দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা এলাকার রানা কবির, হাফিজুর রহমান ও পঙ্কজ শীল। রায় ঘোষণার সময় রানা কবির ছাড়া অন্য পাঁচ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন কাজী সাব্বির আহমেদ। তিনি বলেন, ২০১১ সালের ১৩ জুন ভোরে দুর্বৃত্তরা নগরের সাউথ সেন্ট্রাল রোডের সেতু ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপক মো. ইউনুস আলীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে প্রতিষ্ঠানের ক্যাশ কাউন্টার থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা লুট করে পালিয়ে যায়। নিহত ইউনুস আলী রূপসা উপজেলার মহিশাগুনি গ্রামের আবদুল আওয়াল মোড়লের ছেলে। ওই ঘটনায় নিহত ব্যক্তির বড় ভাই মো. আমজাদ হোসেন মোড়ল বাদী হয়ে ঘটনার দিনই খুলনা থানায় মামলা করেন। পুলিশ ওই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

সাব্বির আহমেদ আরও বলেন, গ্রেপ্তারের পর ঘটনার সঙ্গে নিজেদের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া আসামিরা। ঘটনার বিচারে তাঁদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত ছিল। তবে আসামিদের বয়স কম থাকায় আদালত হয়তো সেটি করেননি।