দুদকের মামলায় পিআইও, খাদ্য কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে জাল কাগজপত্র তৈরি করে প্রকল্পের চাল আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও), খাদ্য বিভাগের চার কর্মকর্তা ও এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

ঠাকুরগাঁওয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. হাছানুজ্জামান আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ আদেশ দেন।

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার তৎকালীন পিআইও গোলাম কিবরিয়া, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিপ্লব কুমার সিংহ রায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঢোলারহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সীমান্ত কুমার বর্মণ ওরফে নির্মল, গড়েয়াহাট খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি–এলএসডি) মাঈদুল ইসলাম, সদর ওসি–এলএসডি শাহাবুদ্দিন আহম্মদ ও ঠাকুরগাঁওয়ের শিবগঞ্জ ওসি–এলএসডি এস এম গোলাম মোস্তফা।

ঠাকুরগাঁওয়ের দুদকের পিপি এম এম সফিউজ্জামান চৌধুরী বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।

আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মাহালিয়াহাট বাজার জামে মসজিদ, মাধবপুর উন্নয়ন যুব সংঘ, মাধবপুর ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, মাধবপুর রামকৃষ্ণ মন্দির ও ব্যারিস্টার জামে মসজিদের নামে কাগজপত্র জাল করে ছয় মেট্রিক টন চাল আত্মসাৎ করার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোতে ‘ভুয়া প্রকল্পে চাল আত্মসাৎ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর সীমান্ত কুমার বর্মণ আত্মসাৎ করা চাল বিক্রির টাকা ফেরত দেন। পরে এ বছরের মার্চে অনুসন্ধানে নামে দুদক। অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় গতকাল বুধবার অভিযুক্ত ছয়জনকে দুদক দিনাজপুর সমন্বিত কার্যালয়ে ডেকে পাঠানো হয়। পরে দুদক তাঁদের আটক করে। এরপর তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।