মন্ত্রীরা নিজেদের রাজা মনে করেন: সাংসদ ফরাজী

জাতীয় সংসদ ভবন। ফাইল ছবি
জাতীয় সংসদ ভবন। ফাইল ছবি

জাতীয় পার্টির সাংসদ রুস্তম আলী ফরাজী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী একাই সব কাজ করেন বলে মন্ত্রীরা নিজেদের রাজা মনে করেন। তাঁদের আর কোনো কাজ করতে হয় না। জনগণকে তাঁরা প্রজা মনে করেন।

দেশে ঘুষ, সন্ত্রাস, ক্যাসিনো, মাদকসহ সব সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান সারা বছর অব্যাহত রাখা হোক—নিজের আনা এ সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করতে গিয়ে রুস্তম আলী ফরাজী এসব কথা বলেন। তবে শেষ পর্যন্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের অনুরোধে তিনি তাঁর সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি প্রত্যাহার করে নেন।

রুস্তম আলী ফরাজীকে সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এর ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, দেশে পুলিশ আছে, প্রশাসন আছে। তাদের নাকের ডগাতে দীর্ঘদিন ধরে ক্যাসিনো, জুয়া ও মদ চলে আসছিল। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীকেই ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। মন্ত্রীরা কিছুই করেন না। তাঁরা গাড়িতে পতাকা নিয়ে ঘুরে বেড়ান। তাঁদের পেছনে দেশের হাজার হাজার টাকা ব্যয় হয়।

রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, ‘আমাদের সংবিধান অনুযায়ী মদ, জুয়া ও গণিকাবৃত্তি নিষিদ্ধ। সুতরাং এসব বন্ধ করতে হবে। কারণ, আজকাল ছাত্ররা ক্লাসে না গিয়ে বাইরে বাইরে ঘোরে, মাদক সেবন করে। পুলিশের অফিস, ভূমি অফিস, পাসপোর্ট অফিস—সব জায়গাতেই দুর্নীতি। এসব অফিসে ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ হয় না। প্রধানমন্ত্রী যুবলীগের সভাপতিকে সরিয়ে দিয়েছেন। আরও অনেককে দলের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের সিদ্ধান্ত জেলা–উপজেলা পর্যায়েও নিতে হবে। জেলা–উপজেলা থেকেও সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিদায় করে দিতে হবে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী প্রমাণ করেছেন, দুর্নীতি বন্ধ করা যায়। আমি মাঠের চিত্র পর্যবেক্ষণ করে বলতে পারি, এটা করতে পারলে আওয়ামী লীগের দুই হাজার লোক থাকবে না। কিন্তু দুই কোটি মানুষের সমর্থন বাড়বে।’

প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন জানিয়ে জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, দুর্নীতি, ঘুষ, ক্যাসিনো চাই না। তবে এসব বন্ধ করতে গিয়ে রাজনীতিবিদদের যেন খাটো না করা হয়।

সরকারি দলের শহিদুজ্জামান সরকার বলেন, ‘আমি আশা করি মাদক, ক্যাসিনো, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’