ছেলের স্ত্রী বিচ্ছেদে আপত্তি, ছুরিকাঘাতে বাবা নিহত

নরসিংদীর পলাশে ছুরিকাঘাতে জমির উদ্দিন মোল্লা (৬২) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিজের ছেলেই তাঁকে ছুরিকাঘাত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পলাশ উপজেলার চরসিন্ধুর ইউনিয়নের চরআলীনগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। একাধিক বিয়ে করা আরিফ মোল্লার (২৮) প্রথম স্ত্রী বিচ্ছেদের প্রস্তাবে আপত্তি করায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে জানা গেছে। আরিফ মোল্লা কখনো রিকশা, কখনো ভ্যান আবার কখনো দিনমজুরি করেন বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, আরিফ তাঁর প্রথম স্ত্রীকে পরিত্যাগ করতে চাচ্ছেন। এ নিয়ে আজ পার্শ্ববর্তী শিবপুর উপজেলার মধ্যনগর গ্রামে একটি সালিস বৈঠকের আয়োজন করেন নিহত জমির উদ্দিন মোল্লা। এই বৈঠকে শিবপুরের সাধারচর ও পার্শ্ববর্তী পলাশ উপজেলার চরসিন্ধুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত হন। বৈঠকে আরিফ তাঁর প্রথম স্ত্রীকে ‘তালাক’ দেওয়ার কথা বলেন। এতে আপত্তি জানান তাঁর বাবা জমির উদ্দিন। পরে শিবপুর থেকে পলাশের চরসিন্ধুর ইউনিয়নের দিকে যাওয়ার পথে আরিফ তাঁর বাবাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলে তাঁর মৃত্যু হয়।

স্থানীয় লোকজন জানান, নিহত জমির মোল্লার দুটি বাড়ি। একটি শিবপুরের মধ্যনগরে। অন্যটি পার্শ্ববর্তী পলাশীর চরআলীনগর গ্রামে। গ্রাম দুটি পাশাপাশি অবস্থিত। আরিফ তাঁর বাবার মধ্যনগরের বাড়িতে থাকেন। আর জমির উদ্দিন থাকতেন তাঁর চরআলীনগরের গ্রামের বাড়িতে।

থানা-পুলিশ নিশ্চিত করেছে আরিফ এ পর্যন্ত দুটি বিয়ে করেছেন। প্রথম বিয়ে করেছেন ৯ বছর আগে। ওই ঘরে ৬ বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। দ্বিতীয় বিয়ে করেন ২ বছর আগে। এই ঘরে ১০ মাস বয়সী আরেকটি মেয়ে আছে। তবে স্থানীয়দের কেউ কেউ দাবি করেছেন, আরিফ তিনটি বিয়ে করেছেন।

পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আরিফ মোল্লাকে আটকে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ব্যাপারে একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।