সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টাকালে উদ্ধার ১১ রোহিঙ্গা

টেকনাফ
টেকনাফ

সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টাকালে কক্সবাজারের উখিয়া থেকে ১১ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। এই ১১ জনের মধ্যে ৫ শিশু, ৫ নারী ও ১ জন পুরুষ রয়েছেন। তাঁরা সবাই উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরের বাসিন্দা।

আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে উখিয়ার সোনারপাড়া থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে।

ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) সিদ্ধার্থ বড়ুয়া জানান, কিছু দালাল চক্রের সদস্য সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া পাচারের কথা বলে তাদের উখিয়ার সোনারপাড়ার ডেইল পাড়ায় একটি কটেজে জড়ো করে রাখে। এ সংবাদ পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করেন। এ সময় দালালেরা পালিয়ে যায়। মাথাপিছু ১৫-২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে দালালেরা মালয়েশিয়ায় পাঠানোর নামে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প থেকে উপকূলে নিয়ে আসেন।

রোহিঙ্গারা জানান, তাদের ট্রলারে করে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর কথা বলে এখানে এনে জড়ো করা হয়।

উপপরিদর্শক সিদ্ধার্থ বড়ুয়া বলেন, এ ঘটনায় আর কারা জড়িত, তাদের অনুসন্ধান করে আইনের আওতায় আনা হবে এবং বিকেলে দিকে উদ্ধার করা রোহিঙ্গাদের শিবিরে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

গত ১ মার্চ থেকে নভেম্বর ১৫ পর্যন্ত সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টাকালে চট্টগ্রামের বাঁশখালী, কক্সবাজারের মহেশখালী, চকরিয়া, পেকুয়া, উখিয়া, টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে ২৮ দফায় ৭৯৬জন রোহিঙ্গা ও দুজন বাংলাদেশিকে উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২৯জন দালালের সহযোগীকে। এর মধ্যে গত ১৪ মে থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে মানব পাচারকারীদের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৭জন নিহত হয়েছেন। তার মধ্যে ৩ জন রোহিঙ্গা নাগরিক ও ৪জন বাংলাদেশি রয়েছেন।