পেঁয়াজের দাম অভিযানে কমল, শেষে আগের মতো

বগুড়ার নন্দীগ্রামের দুই হাটে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযান শুরু করতেই মুহূর্তেই পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমে গেল ৩০ টাকা। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার রণবাঘা ও ওমরপুর হাটে এ অভিযান পরিচালনা করেন শারমিন আখতার।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নন্দীগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে বর্তমানে ২১০ টাকা দরে বিক্রি করে আসছেন স্থানীয় খুচরা ব্যবসায়ীরা। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। আজ দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আখতার হঠাৎ রণবাঘা ও ওমরপুর হাটে অভিযানে যান। এতে নিমেষেই প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২১০ টাকা থেকে কমিয়ে ১৮০ টাকা বিক্রি শুরু হয়।

তবে এই কমতি দাম বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযান শেষ করে যাওয়ার পরই আবারও বাড়তি দামে বিক্রি শুরু করেন ব্যবসায়ীরা।

দাম কেন বেড়েছে জানতে চাইলে বিক্রেতা আরিফুল ইসলাম জানান, বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ নেই। দেশি পেঁয়াজের মজুতও প্রায় শেষ। তাই দাম বেড়েছে।

ওই দুই বাজারে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২১০ টাকা। অপেক্ষাকৃত মানের ছোট পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা দরে।

ক্রেতা রায়হান বলেন, সকালে ওমরপুর হাটে ২১০ টাকা দিয়ে এক কেজি পেঁয়াজ কিনেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আখতার বলেন, ওই দুই বাজারে ২১০ থেকে ২২০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল—এই খবরের ভিত্তিতে বিভিন্ন হাটবাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় পেঁয়াজের দাম সহনীয় রাখার জন্য ব্যবসায়ীদের বোঝানো হয়। অভিযান চালানোর পরে বিক্রেতারা ১৮০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে রাজি হয়েছিলেন। শুনেছি পরে আবার পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। আসলে সব সময় তো ভ্রাম্যমাণ চালানো সম্ভব হয়ে ওঠে। এই ক্ষেত্রে জনগণকে সচেতন হতে হবে। আরও অভিযান চালানো হবে।