রংপুরে বাঁশের খুঁটিতে বিদ্যুতের তার

বাঁশের খুঁটি দিয়ে টানা হয়েছে বিদ্যুতের তার। গত বুধবার রংপুর নগরের বাহার কাছনা এলাকার স্কুলপাড়ায়।  ছবি: প্রথম আলো
বাঁশের খুঁটি দিয়ে টানা হয়েছে বিদ্যুতের তার। গত বুধবার রংপুর নগরের বাহার কাছনা এলাকার স্কুলপাড়ায়। ছবি: প্রথম আলো

রংপুর নগরের বাহার কাছনা স্কুলপাড়া এলাকায় বাঁশের খুঁটি দিয়ে ৬৫টি পরিবারে বিদ্যুৎ–সংযোগ দেওয়া হয়েছে। ফলে এলাকাবাসী ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। এখানকার লোকজন বলছেন, প্রায় চার বছর আগে তাঁরা স্থায়ী খুঁটির আবেদন করলেও এখনো তা বসানো হয়নি।

সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাহার কাছনা কোম্পানি মোড় থেকে উত্তর দিকে চলে যাওয়া সড়কের স্কুল বাজার এলাকার পশ্চিমে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে স্কুলপাড়া অবস্থিত। এই এলাকায় ৬৫টি পরিবারের বসবাস। এ পাড়ায় বিদ্যুতের সংযোগ থাকলেও কংক্রিটের বা কাঠের স্থায়ী খুঁটি নেই।

৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম দেওয়ানী বলেন, ‘জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি বিষয়টি একাধিকবার বিদ্যুৎ বিভাগকে জানিয়েছি। আশা করি, অল্প কিছুদিনের মধ্যে স্থায়ী খুঁটি বসানোর কাজ শুরু হবে।’

স্থানীয় লোকজন বলেন, ২০১৫ সালে এখানকার লোকজন বিদ্যুৎ অফিসকে ‘ম্যানেজ’ করে সংযোগ নিয়েছেন। তখন খুঁটি না থাকায় বাঁশের খুঁটি দিয়ে সংযোগ দেওয়া হয়। এরপর তাঁরা স্থায়ী খুঁটি বসানোর আবেদন করেন। কিন্তু চার বছরেও খুঁটি বসানো হয়নি।

গত বুধবার গিয়ে দেখা যায়, প্রায় এক কিলোমিটারব্যাপী সড়কে বাঁশের খুঁটি। এসব খুঁটিতে ঝুলছে বিদ্যুতের তার। অনেক স্থানে তার হেলে গাছের সঙ্গে লেগে আছে।

এ সময় আফজাল হোসেন নামের একজন বলেন, ‘চার বছর আগে বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন এসে বাড়িতে লাইন লাগিয়ে দিয়ে গেছে। তখন ভাবি নাই যে বিদ্যুতের স্থায়ী খুঁটি দরকার। এখন অনেক সমস্যা হইতেছে।’

পল্লিচিকিৎসক শাহিনুর রহমান বলেন, ‘প্রয়োজনে বাধ্য হয়ে এভাবে বিদ্যুতের সংযোগ নিতে হয়েছে। এখন ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে ভয় লাগে।’

ব্যবসায়ী এন্তাজ আলী বলেন, ২০১৫ সালে বিদ্যুতের অফিসে আবেদন করা হলেও এখনো স্থায়ী খুঁটি বসানো হয়নি।

এলাকার লোকজন বলেন, প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে এই রাস্তায় চলাচল করতে হয়। বাঁশের খুঁটি ভেঙে গিয়ে বিদ্যুতের তার যেকোনো সময় ছিঁড়ে পড়তে পারে। সবচেয়ে বেশি ভয় ঝড়-বৃষ্টির সময়। ঝড় শুরু শুরু হলেই মনে হয়, কখন যে ছিঁড়ে পড়ে তার! বিষয়টি বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

জানতে চাইলে সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান বলেন, এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ওই এলাকায় বিদ্যুতের স্থায়ী খুঁটি বসানোর জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ, নেসকো-৩-এর নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, সম্প্রতি খুঁটি বসানোর একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর অধীনে ওই এলাকার কিছু স্থানে স্থায়ী খুঁটি বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। শিগগিরই স্কুলপাড়া এলাকায় খুঁটি বসানো হবে।