নতুন বাংলাদেশ গড়তে মুক্তিযোদ্ধাদের এগিয়ে আসতে হবে: কাদের

জি এম কাদের। ফাইল ছবি
জি এম কাদের। ফাইল ছবি

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেছেন, স্বাধীনতাসংগ্রাম শেষ হয়েছে, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। কিন্তু এখনো দারিদ্র্য, অর্থনৈতিক বৈষম্য, সামাজিক অবিচার ও মানুষে মানুষে ভেদাভেদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম শেষ হয়নি। এই মুক্তিসংগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

আজ শনিবার জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পার্টির প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন জি এম কাদের। সকালে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী অফিস মিলনায়তনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পার্টির আহ্বায়ক জাফর উল্লা মজুমদার আজাদ আজকের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, যে মুক্তিযোদ্ধারা দেশের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলেন, দেশের মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তাঁদেরই দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ গড়তে মুক্তিযোদ্ধাদের এগিয়ে আসতে হবে।

জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদকে স্মরণ করে কাদের বলেন, এরশাদ শুধু মুখেই মুক্তিযোদ্ধাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বলেননি, প্রতিটি কাজে প্রমাণ করেছেন। তিনি সম্মানিত করেছেন মুক্তিযোদ্ধাদের। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অফিস এবং ভাতার ব্যবস্থা করেছিলেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দেওয়ার সেই ধারাকে আরও সমৃদ্ধ করেছেন। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ।

আজকের অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মদান এবং দেশমাতৃকার জন্য অবদান জাতি আজীবন কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে। তিনি বলেন, অনেকেই এমপি-মন্ত্রী হতে পারবেন, কিন্তু যাঁরা দেশের জন্য জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেননি, তাঁরা কখনোই মুক্তিযোদ্ধা হতে পারবেন না। আর এ জন্যই এরশাদ মুক্তিযোদ্ধাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট এবং জেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অফিস নির্মাণের ব্যবস্থা করেছেন।


জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পার্টির সদস্যসচিব ইসহাক ভূঁইয়ার পরিচালনায় প্রতিনিধি সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ, সাইফুদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান মো. আরিফুর রহমান খান, জহিরুল আলম প্রমুখ।