কুষ্টিয়ায় হঠাৎ বাস বন্ধ, দুর্ভোগে যাত্রীরা

কুষ্টিয়ায় হঠাৎ বাস বন্ধে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। আজ শনিবার সকাল থেকে কুষ্টিয়ার আন্তজেলা চারটি রুটে বাসের শ্রমিকেরা বাস চালানো থেকে বিরত থাকেন। সকালে বাসস্ট্যান্ডে এসে যাত্রীরা বিষয়টি জানতে পেরে বিপাকে পড়েন।

শ্রমিক নেতাদের দাবি,নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকরের প্রতিবাদে আন্তজেলা রুটে চলা বাস চালাচ্ছে তারা। কবে কখন বাস চালাবেন সেটাও তারা ঠিকভাবে বলতে পারছেন না।

কোনো রকম পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বাস বন্ধের ফলে কুষ্টিয়া থেকে জেলা মধ্যে ভেড়ামারা,প্রাগপুর রুট, কুষ্টিয়া-মেহেরপুর,কুষ্টিয়া-চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক জেলা সড়ক ও মহাসড়কে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

সকালে যাত্রীরা মজমপুর, চৌড়হাস এলাকায় বাস টার্মিনালে গিয়ে বাস না পেয়ে অটোরিকশা ও মাহেন্দ্র যানবাহনে করে তাদের গন্তব্যে উদ্দেশে রওনা দেন।

বাস মালিক সমিতির নেতারা বলছেন, শ্রমিকেরা বাস চালাচ্ছে না এ জন্য বাস বন্ধ। মালিক সমিতি থেকে বাস চালানো বন্ধ করা হয়নি। যে চারটি রুটে বাস বন্ধ হয়েছে তাতে প্রতিদিন দেড় শতাধিক বাস চলাচল করে থাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সড়ক পরিবহনের নতুন আইনের কার্যকারিতা নিয়ে শ্রমিকেরা আতঙ্কে আছেন। পুলিশ আইন প্রয়োগ করতে পারে—এমন আশঙ্কায় শ্রমিকেরা কর্মবিরতিতে চলে গেছে।

কুষ্টিয়া জেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাহাবুবুল হক প্রথম আলোকে বলেন, জেলায় যতগুলো বাস আছে তার ৫০ ভাগ গাড়িরই কাগজ সঠিকভাবে নাই। বাসের একটা সমস্যা আছেই। এ ছাড়া ৫০ ভাগ চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্সের নবায়ন করা নেই। সবচেয়ে বড় সমস্যা সুপারভাইজারের শতভাগ লাইসেন্স করা নেই। নতুন আইনে বড় অঙ্কের জরিমানার বিধান হওয়ায় চালক ও সুপারভাইজারেরা সড়কে বাস নামাচ্ছে না।

মাহাবুবুল আলম আরও বলেন, বিষয়টি কেন্দ্রীয় ভাবে হয়ে আসছে। কেন্দ্র মোতাবেক সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত বলেন, বাস বন্ধ রাখার বিষয়টি জানা আছে। এ ব্যাপারে শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে আইনের বাইরে কোনো কিছুই করা হবে না।