জেডিসি পরীক্ষায় অসদুপায়ে সহযোগিতা, তিন মাদ্রাসাশিক্ষকের কারাদণ্ড

প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি।

জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনে সহযোগিতার দায়ে ঠাকুরগাঁওয়ের দুই উপজেলায় তিন মাদ্রাসাশিক্ষককে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ শনিবার তাঁদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি কেন্দ্রে মুঠোফোন নিয়ে পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করায় দুই মাদ্রাসাশিক্ষককে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে।

কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত শিক্ষকেরা হলেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার উত্তর হরিহরপুর আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক মো. মনসুর আলী, ভেলাজান আনছারিয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক আয়েশা সিদ্দিকা এবং বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক আবদুল কাদের। এ ছাড়া কেন্দ্রে মুঠোফোন নিয়ে পরিদর্শকের দায়িত্ব পালনের কারণে জরিমানাপ্রাপ্ত শিক্ষকেরা হলেন দানারহাট আনছারিয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক আবু সায়েম ও সালন্দর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক রশিদা খাতুন।

সদর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আজ জেডিসি পরীক্ষার্থীদের ইংরেজি পরীক্ষা ছিল। বেলা ১১টার দিকে কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনে শিক্ষকদের সহযোগিতা করার বিষয়টি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল কাইয়ুম খানের নজরে আসে। পরে তিনি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ-আল-মামুনকে জানান। ইউএনও কেন্দ্রে আসার পর কয়েকজন শিক্ষককে তল্লাশি করা হয়। তল্লাশির সময় মো. মনসুর আলীর পকেট এবং আয়েশা সিদ্দিকার হাতব্যাগ থেকে নকলের কাগজ পাওয়া যায়। এ সময় তাঁরা নিজেদের দোষ স্বীকার করে নিলে তাঁদের ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া তল্লাশিতে আবু সায়েম ও রশিদা খাতুনের কাছে মুঠোফোন পাওয়া গেলে দুজনকে ১ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

সদর উপজেলার ইউএনও আবদুল্লাহ-আল-মামুন প্রথম আলোকে বলেন, পরীক্ষার্থীদের অসদুপায় অবলম্বনে সহযোগিতা করায় দুই শিক্ষককে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর নিয়মবহির্ভূতভাবে কেন্দ্রে মুঠোফোন রাখায় অপর দুই শিক্ষককে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সমিরউদ্দীন স্মৃতি মহাবিদ্যালয় কেন্দ্রে নকল সরবরাহ করায় শিক্ষক আবদুল কাদেরকে এক মাসের কারাদণ্ড দেন ইউএনও খায়রুল আলম।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তানভিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।