বিদেশ থেকে বোন অনেক টাকা এনেছে শুনে...

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বিদেশ থেকে বোন অনেক টাকা এনেছে এই খবর শুনে ভাগনিকে অপহরণ করেছে খালা। অপহৃত শিশুর নাম ফারজানা (৭)। পুলিশ ঘটনার তিন দিন পর আজ শনিবার সকালে জামালপুরের সরিষাবাড়ী থেকে তাকে উদ্ধার করে। ফারজানা ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এই খালার কাছেই থাকত।

পুলিশ এ ঘটনায় খালা ভাঙ্গা পৌরসভার চন্ডিদাসদি মহল্লার বেদানা বেগম (৪৫), তাঁর ছেলে হৃদয় মোল্লা (১৮) ও ভাঙ্গা পৌরসভার কাপুড়িয়া সদরদী মহল্লার ইমন মুন্সীকে (১৮) আটক করেছে।

ফারজানা ভাঙ্গা পৌরসভার দাড়িয়ারমাঠ মহল্লার একটি মাদ্রাসার মক্তব বিভাগের ছাত্রী।

পুলিশ ও মাদ্রাসা সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার সকালে ফারজানার খালাতো ভাই হৃদয় মাদ্রাসা থেকে কৌশলে ফারজানাকে বের করে জামালপুরের সরিষাবাড়ী নিয়ে আটকে রাখে। এরপর চক্রটি ফারজানার মাকে ফোন দিয়ে ৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মোবাইল কলের সূত্র ধরে ভাঙ্গা থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে সরিষাবাড়ী এলাকা থেকে শিশু ফারজানাকে উদ্ধার করেন। এ সময় তার খালা ও খালাতো ভাই হৃদয় ও প্রতিবেশী ইমনকে আটক করা হয়।

পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, ফারজানার বাবার সঙ্গে তার মা কুলসুম বেগমের বিবাহ বিচ্ছেদ হয় কয়েক বছর আগে। এরপর কুলসুম চাকরি সূত্রে সৌদি আরব যান। যাওয়ার আগে বড় বোন বেদানার কাছে মেয়ে ফারজানাকে রেখে যান। বেদানা ভাগনিকে মাদ্রাসায় ভর্তি করান। এরই মধ্যে কুলসুম সৌদি থেকে দেশে ফিরে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দেড় মাস ধরে কুলসুম স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় বসবাস করছেন। বোন সৌদি থেকে অনেক টাকা নিয়ে এসেছে এ খবর শুনে বেদানা ও তাঁর ছেলে ফারজানাকে অপহরণের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

ভাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নিখিল অধিকারী জানান, অপহৃত শিশু ফারজানাকে আমরা জামালপুরের সরিষাবাড়ী থেকে উদ্ধার করেছি। অপহরণ চক্রের সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আটক করেছি।