দুদকের রিমান্ডে ক্যাসিনো ব্যবসায়ী সেলিম প্রধান

অনলাইনে ক্যাসিনো ব্যবসার মূল হোতা সেলিম প্রধান। প্রথম আলো ফাইল ছবি
অনলাইনে ক্যাসিনো ব্যবসার মূল হোতা সেলিম প্রধান। প্রথম আলো ফাইল ছবি

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসায়ী সেলিম প্রধানকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার দুপুর ১২ টার দিকে তাঁকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে সংস্থাটি।

দুদক সূত্র প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

দুদকের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ ইমরুল কায়েস গত বুধবার সেলিম প্রধানকে ৭ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিমানের একটি ফ্লাইট থেকে নামিয়ে এনে সেলিম প্রধানকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। তাঁকে নিয়ে তাঁর অফিস ও বাসায় অভিযান চালিয়ে ২৯ লাখ ৫ হাজার ৫০০ টাকা, ৭৭ লাখ ৬৩ হাজার টাকার সমপরিমাণ ২৩টি দেশের মুদ্রা, ১২টি পাসপোর্ট, ১৩টি ব্যাংকের ৩২টি চেক, ৪৮ বোতল বিদেশি মদ, একটি বড় সার্ভার, চারটি ল্যাপটপ ও দুটি হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়েছে। হরিণের চামড়া উদ্ধারের ঘটনায় বন্য প্রাণী সংরক্ষণ নিরাপত্তা আইনে তাঁকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও মানি লন্ডারিং আইনে দুটি মামলা হয়।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ২৭ অক্টোবর সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। তাঁর বিরুদ্ধে ১২ কোটি ২৭ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে মামলাটি করেন উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।

মামলার এজাহারে বলা হয়, সেলিমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জাপান-বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ প্রিন্টিং ও অন্যান্য কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারের হিসাব আয়কর নথিতে না দেখিয়ে রাজস্ব ফাঁকিসহ অবৈধভাবে ১২ কোটি ২৭ লাখ টাকা অর্জন করেছেন।

সেপ্টেম্বরে শুদ্ধি অভিযান শুরুর পর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ নিয়ে ১৪ টি মামলা করেছে দুদক। ঠিকাদার জি কে শামীম, বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক ও তাঁর ভাই রুপন ভূইয়া, অনলাইন ক্যাসিনোর হোতা সেলিম প্রধান, বিসিবি পরিচালক লোকমান হোসেন ভূইয়া, কলাবাগান ক্লাবে সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজ এবং যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক আনিসুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী সুমি রহমান এবং কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান, তারেকুজ্জামান রাজীব, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, এনামুল হক আরমান ও জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে আলাদা মামলা করেছে দুদক।

মামলার পর এ পর্যন্ত জিকে শামীম, খালেদ মাহমুদ ভূইয়া ও লোকমান হোসেন ভূইয়াকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।