হরিণাকুণ্ডুতে চরমপন্থী দলের নেতা 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বাদশা মিয়া (৫২) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামের একটি মাঠে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের ভাষ্য, নিহত বাদশা মিয়া নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী দল জনযুদ্ধের আঞ্চলিক কমান্ডার ছিলেন।

বাদশা মিয়া হরিণাকুণ্ডু উপজেলার জোড়াপুকুর গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে। পুলিশের তথ্যমতে, তাঁর বিরুদ্ধে ৭টি হত্যা মামলা রয়েছে। এ ছাড়া অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে করা দুটি মামলাসহ আরও মামলা রয়েছে। ঘটনার সময় তারা একটি পিস্তল ও দুইটি গুলি উদ্ধার করে।

হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, জনযুদ্ধের আঞ্চলিক কমান্ডার বাদশা মিয়া তাঁর দলবল নিয়ে তেঁতুলিয়া গ্রামের একটি মেহগনি বাগানে গোপন বৈঠক করছিলেন। এই তথ্য পেয়ে পুলিশের একটি টহল দল রাত দুইটার দিকে ওই এলাকায় যায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাদশা ও তাঁর লোকজন পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ৩০টি গুলিবিনিময় হয়। এ সময় বাদশা মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি জানান, ঘটনার সময় হরিণাকুণ্ডু থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহরাব হোসেন ও কনস্টেবল সোহেল আহম্মদ আহত হন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।