মোরশেদ খানের হংকংয়ের ব্যাংক হিসাবের অর্থ বাজেয়াপ্তের আদেশ হাইকোর্টে বহাল

এম মোরশেদ খান
এম মোরশেদ খান

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খান ও তাঁর ছেলে ফয়সাল মোরশেদ খানের হংকংয়ের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক হিসাব ও শেয়ারের অর্থ বাজেয়াপ্তে বিচারিক আদালতের দেওয়া আদেশ বহাল থাকছে। হংকং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে তাঁদের ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ফার ইস্ট কমিউনিশন লিমিডেটের নামে বেশ কিছু শেয়ার আছে।

এই আদেশের বিরুদ্ধে তাঁদের করা আপিল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আইনজীবী সূত্র বলছে, গত ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার জ্যেষ্ঠ মহানগর বিশেষ জজ আদালত ওই ব্যাংক হিসাব ও শেয়ারের অর্থ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন। অ্যার্টনি জেনারেল ও দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই আদেশ দেওয়া হয়। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল করেন মোরশেদ খান ও তাঁর ছেলে।

আদালতে আপিলকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি ও শেখ ফজলে নূর তাপস। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম, সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

পরে অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম প্রথম আলোকে বলেন, সরকার ও দুদকের কাছে চিঠি দিয়ে হংকং কর্তৃপক্ষ জানায় যে মোরশেদ খান ও তাঁর ছেলের হংকং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ফার ইস্ট কমিউনিশন লিমিডেটের নামে বেশ কিছু শেয়ার আছে। গত ১৫ অক্টোবরের মধ্যে ওই অর্থ এবং শেয়ার বাজেয়াপ্ত না করা হলে তা তাদের ফেরত দেওয়া হবে বলে হংকং পুলিশ ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল। ২০১২ সালের মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসটেন্স অ্যাক্টের অধীনে হংকং কর্তৃপক্ষ ওই তথ্য জানায়। পরে ব্যাংক হিসাব ও শেয়ার বাজেয়াপ্তের জন্য আবেদন করা হয়।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মোরশেদ খান, তাঁর স্ত্রী ও ছেলের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় ২০১৩ সালে ওই মামলাটি করে দুদক। মামলাটি পুনঃতদন্তধীন। ব্যাংক হিসাব ও শেয়ার বাজেয়াপ্তে বিচারিক আদালতের আদেশ ইতিমধ্যে হংকং কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।