শিক্ষকের ঠোঁট কামড়ে ছিঁড়ে দিলেন আরেক শিক্ষক

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত শিক্ষক শ্রীপতি বিশ্বাস। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ১৮ নভেম্বর। ছবি: সংগৃহীত
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত শিক্ষক শ্রীপতি বিশ্বাস। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ১৮ নভেম্বর। ছবি: সংগৃহীত

মাগুরার শালিখা উপজেলায় এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপর এক শিক্ষকের ঠোঁট কামড়ে ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার ধনেশ্বরগাতি বাজারে এ ঘটনা ঘটে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, সেই শিক্ষকের ঠোঁটে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন।

আহত শিক্ষকের নাম শ্রীপতি বিশ্বাস। তাঁকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি উপজেলার নাঘোষা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। অভিযুক্ত শিক্ষক উজ্জ্বল মজুমদার একই উপজেলার মশাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মশাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা একই উপজেলার থৈপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সমাপনী পরীক্ষা দিচ্ছে। সোমবার পরীক্ষাকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করছিলেন শ্রীপতি বিশ্বাস। পরীক্ষার মধ্যে উচ্চ স্বরে কথা বলায় শিক্ষার্থীদের ‘বেয়াদব’ বলেন শ্রীপতি। পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীরা বিষয়টি নিজেদের স্কুলের শিক্ষক উজ্জ্বল মজুমদারকে জানান। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে সন্ধ্যায় ধনেশ্বরগাতি বাজারে শ্রীপতি বিশ্বাসের ওপর হামলে পড়েন উজ্জ্বল। অভিযোগ উঠেছে, এ সময় কামড়ে শ্রীপতির ঠোঁট ছিঁড়ে নেন তিনি।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষক শ্রীপতি বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, ‘উজ্জ্বলের সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। তাঁর স্কুলের ছেলেমেয়েদের বকা দিয়েছি বলে তিনি কামড়ে আমার ঠোঁট ছিঁড়ে ফেলেছেন।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক উজ্জ্বল মজুমদার বলেন, শ্রীপতি শুধু শিক্ষার্থীদেরই বেয়াদব বলেননি, স্কুলের শিক্ষকদেরও বেয়াদব বলেছেন। তবে কামড়ে ঠোঁট ছিঁড়ে ফেলার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, মারামারির সময় পড়ে গিয়ে ঠোঁট কাটতে পারে।

মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক অমর প্রসাদ বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, রোগীর মুখের অনেকটা জায়গাজুড়ে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তির পর তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই তাঁর অস্ত্রোপচার করা প্রয়োজন।

শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। শুধু পরীক্ষাকেন্দ্রের ঘটনায় নয়, দুজনের পুরোনো ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।