ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগ কর্মীদের দুই পক্ষের মধ্যে আজ বুধবার দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ রাত সাড়ে নয়টার দিকেও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলছিল। সংঘর্ষে ১০ কর্মী আহত হয়েছেন। সন্ধ্যা থেকে জিয়াউর রহমান হল মোড় এলাকায় সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। আহত কর্মীদের মধ্যে সাতজনকে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, ছাত্রলীগের সিনিয়র ও জুনিয়র কর্মীদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে এ সংঘর্ষ বাধে। ঘটনাস্থল থেকে রাত সাড়ে নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর পরেশ চন্দ্র বর্মণ প্রথম আলোকে বলেন, এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে। থেমে যাওয়ার পরও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হচ্ছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে জিয়াউর রহমান হল মোড়ে আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রিজভী আহমেদ হেঁটে যাওয়ার সময় লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ঝিনুক, আলাল ইবনে জয় ও চঞ্চু চাকমা ডাক দেন। তাঁরা সবাই ছাত্রলীগের কর্মী। এ সময় জুনিয়র ওশান সিনিয়রদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এতে ওশানকে চড় মারেন সিনিয়ররা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাঁশ ও লাঠিসোঁটা নিয়ে কয়েক দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। এতে শাহাজালাল ইসলাম, বাঁধন, আলাল ইবনে জয়, স্বাধীন, সালমানসহ ১০ জন কর্মী আহত হন।

আহত কর্মীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত চিকিৎসক খুরশিদা জাহান। তবে তাঁদের কেউ আশঙ্কাজনক নয় বলেও জানান তিনি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাস এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে আবাসিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে।

নানা কারণে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেন না। তাঁদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে ছাত্রলীগের বড় একটি অংশ ক্যাম্পাস দখলে রেখেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ। বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা হবে।