৩ লাখ টাকার পাঁচটি গাছ কাটলেন ইউপি সদস্য

বগুড়ার শেরপুরে সরকারি খাস সম্পত্তির ওপর থেকে তিন লাখ টাকা দামের পাঁচটি পুরোনো গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যসহ তিনজনের নামে মামলা করা হয়েছে। বাদী উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা।

থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পুতুল মোহন্ত বলেন, গত মঙ্গলবার বিকেলে কেটে নেওয়া গাছগুলোর মধ্যে চারটি মেহগনিগাছ শেরপুর পৌর শহরের একটি করাতকলের ভেতরে থেকে জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া গতকাল বুধবার দুপুরে কেটে ফেলা আরেকটি জামগাছ উদ্ধার করা হয়েছে গাছ কাটার স্থল থেকে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এই গাছ কাটার সঙ্গে ওই তিনজন জড়িত থাকার সত্যতা পাওয়া গেছে।

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন ইউনিয়নের দয়ালসারা গ্রামের শহিদুল ইসলামসহ (৫২), একই গ্রামের শাহিন সরকার (৪০) ও মজনু মোল্লা (৪১)। বিশালপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান প্রথম আলোকে বলেন, শহিদুল ইসলাম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। এ ছাড়া ওই দুজনের মধ্যে শাহিন সরকার দয়ালসারা বাজার এলাকায় একটি করাতকলের মালিক ও মজনু মোল্লা নছিমনচালক।

বিশালপুর ইউনিয়নের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা ফেরদৌস জামান বলেন, উপজেলার দয়ালসারা মৌজায় হাটের সরকারি ৬ দশমিক ৬০ একর খাস সম্পত্তির ওপর বেশ কিছু গাছ রয়েছে। গত শুক্র ও শনিবার এই গাছ কেটে নেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে থেকে জানতে পেরে গত রোববার ঘটনাস্থলে যান তিনি। পরে ওই রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের করাতকলের ভেতর থেকে উদ্ধার করা চারটি মেহগনিগাছের ডুম রয়েছে বিশালপুর ইউপি পরিষদের চত্বরে। স্থানীয় কয়েকজন বলেন, কেটে নেওয়া গাছগুলোর মধ্যে মেহগনিটির বয়স ২০ আর জামগাছটির বয়স অন্তত ৪০ বছর।

গাছ কাটা নিয়ে শাহিন সরকার বলেন, তিনি দুই বছর ধরে তাঁর করাতকল বন্ধ রেখেছেন। গাছগুলো তাঁর মাধ্যমে শেরপুরে আনোয়ার নামের এক ব্যক্তির কাছে ৪৭ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। আনোয়ার তাঁর লোকজন দিয়ে গাছগুলো কেটে শহরের কলেজ রোড এলাকায় একটি করাতকলে রেখেছিলেন। গাছগুলো কেটে নেওয়ার সময় অগ্রিম দুই হাজার টাকা দিয়েছিলেন তাঁদের ওয়ার্ডের সদস্য শহিদুল ইসলামকে। 

গতকাল ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান বলেন, গত সোমবার শহিদুল ইসলাম এলাকার কয়েকজন মুরব্বিদের দিয়ে সৌদি আরবে গেছেন।