গাবতলীতে বাস ছাড়ছে কম

গাবতলী বাস টার্মিনাল । ফাইল ছবি
গাবতলী বাস টার্মিনাল । ফাইল ছবি

রাজধানীর গাবতলীতে আজও বাস ছাড়ছে কম। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই গাবতলীতে বহু যাত্রী দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। 

সকাল আটটার দিকে গাবতলীতে গিয়ে দেখা গেছে, গতকালের মতো আজও সেখান থেকে সিটি সার্ভিসের বাস অল্প স্বল্প চলাচল করলেও, দূরপাল্লার বাস ছাড়ছে না বললেই চলে। তবে শ্রমিকদের অবস্থান নেই।

গাবতলী বাস টার্মিনালে প্রবেশমুখে কনফেকশনারি মালিক শিপন মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘সকাল সাতটার দিকে দোকান খুলেছি। শুনলাম ধর্মঘট প্রত্যাহার হয়েছে। কিন্তু টার্মিনালে এসে দেখি, আগের অবস্থা। দূরপাল্লার বাস একেবারেই ছাড়ছে না।’

তবে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, পরিস্থিতি গত দুই দিনের চেয়ে ভালো।

গাবতলীর ট্রাফিক জোনের সহকারী কমিশনার জাহিদুল ইসলাম খান প্রথম আলোকে বলেন, টার্মিনাল আগের দুদিনের মতো সচল আছে। বাস কম চলছে। তবে গতকালের চেয়ে কিছুটা বেশি বাস আজ সকালে ছেড়েছে।

নতুন সড়ক পরিবহন আইনের বিরোধিতা করে শ্রমিকদের ধর্মঘট, কোথাও কোথাও সড়ক অবরোধে গতকাল বুধবার কার্যত অচল হয়ে পড়ে পণ্য পরিবহন ও যাত্রীসেবা। পরে গতকাল মধ্যরাতে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের ধানমন্ডির বাসায় সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এর আগে শ্রমিকনেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় চার ঘণ্টা বৈঠক করেন।

গত শনিবার থেকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যাত্রী পরিবহন বাধাগ্রস্ত হতে শুরু করে। এরপর তা উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলেও ছড়িয়েছে। গতকাল সকালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করেন। এতে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পুরোটা এবং ঢাকা বিভাগের কিছু জেলায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে উত্তর, পশ্চিম ও দক্ষিণের পর দেশের পূর্বাঞ্চলও অচল হয়ে পড়ে। দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ। পুলিশ বুঝিয়ে-সুঝিয়ে বেলা দুইটার দিকে শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। এরপর পূর্বাঞ্চলে অল্প হলেও বাস চলাচল শুরু হয়।