মোবাইলে আর্থিক সেবার মাধ্যমে ঘুষ লেনদেন হচ্ছে: দুদক চেয়ারম্যান

সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে মোবাইলে আর্থিক সেবাপ্রধানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠকে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। ছবি: দুদকের সৌজন্যে
সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে মোবাইলে আর্থিক সেবাপ্রধানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠকে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। ছবি: দুদকের সৌজন্যে

মোবাইল ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করে অপরাধীরা যাতে ঘুষ লেনদেন কিংবা জঙ্গি অর্থায়ন করতে না পারে সেটা নিশ্চিত করা জরুরি বলে মনে করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি বলেছেন, অপরাধীরা এজাতীয় চ্যানেল ব্যবহার করে ঘুষ গ্রহণসহ বিভিন্ন অপরাধ করে বলে কমিশনে অভিযোগ আছে।

মোবাইলে আর্থিক সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের সঙ্গে এক বৈঠকে দুদক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। আজ বৃহস্পতিবার সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, মোবাইলে আর্থিক সেবার মাধ্যমে অপরাধীদের কর্মকাণ্ড নিয়ে কমিশনের উদ্বেগ আছে। সবার সহায়তায় সমন্বিতভাবে পদ্ধতিগত উন্নয়নের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং চ্যানেলে ঘুষ লেনদেন ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ করতে চায় কমিশন।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রতিটি লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য সংরক্ষণ করতে হবে এবং সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিপোর্টিং এজেন্সিকে জানাতে হবে। প্রতিটি লেনদেনের ডিজিটাল রসিদ রাখতে হবে।

দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘কমিশনে একজন কর্মকর্তাকে ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে নিয়োগ করা হবে। তিনি অনুসন্ধান বা তদন্তের স্বার্থে কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে আপনাদের কাছে তথ্য চাইলে তাৎক্ষণিকভাবে ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তাকে তথ্য দেবেন।’

এ সময় বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদির, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মো. শিরিন দুদক চেয়ারম্যানকে জানান, তাঁরা মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেনের সব রেকর্ডপত্র যথাযথভাবে সংরক্ষণ করেন। দুদক চাইলে এসব লেনদেনের তথ্য তারা কমিশনকে সরবরাহ করবেন। তাঁরা আরও জানান, সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে নিয়মিতভাবেই জানানো হয়।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন রকেট এর এসইভিপি আবেদুর রহমান সিকদার, বিকাশের হেড অব রেগুলেরটরি অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মো. মেজবাউল হক, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এস এস ভদ্র, দুদকের মানিলন্ডারিং অনুবিভাগের মহাপরিচালক আ ন ম আল ফিরোজ, প্রশিক্ষণ ও আইসিটি অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল, গোয়েন্দা শাখার পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী, মানিলন্ডারিং অনুবিভাগের পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী প্রমুখ।

এরপর দুদক চেয়ারম্যান কুরিয়ার সার্ভিসের নির্বাহীদের নিয়ে বৈঠক করেন। এ সময় তিনি বলেন, মালামাল পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রেরক ও প্রাপকের সঠিক পরিচয় কুরিয়ার সেবা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানকে নিশ্চিত করতে হবে। এ সময় এস এ পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সালাউদ্দীন বক্তব্য দেন।